উড়ন্ত বিমান থেকে লাফ। স্কাইডাইভিং করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়লেন এক তরুণ। প্যারাশুট খোলার আগে খিঁচুনিতে আক্রান্ত হলেন তিনি। মাঝ আকাশে জ্ঞানও হারালেন। যদিও দ্রুত গতিতে নীচের দিকে পড়ার সময় সহ-স্কাইডাইভার দ্রুত তাঁকে ধরে ফেলেন। ভয়ঙ্কর সেই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি বিমান থেকে মাঝ আকাশে লাফ দিলেন এক স্কাইডাইভার তরুণ। তাঁর পোশাকের সঙ্গে প্যারাশুট বাঁধা। তাঁর পিছনে আরও এক জন লাফ দিলেন। কিন্তু লাফ দেওয়ার কিছু ক্ষণ পরে প্রথম তরুণের শরীরের খিঁচুনি ধরে। মাঝ আকাশেই জ্ঞান হারান তিনি। দ্রুতগতিতে পড়তে থাকেন নীচের দিকে। আকাশেই তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে যান দ্বিতীয় তরুণ। ধরেও ফেলেন। খুলে দেন প্যারাশুট। পুরো ঘটনাটি তাঁদের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ক্রিস্টোফার জোনস নামে স্কাইডাইভারের সঙ্গে ঘটে। পেশায় স্কাইডাইভিং প্রশিক্ষক শেলডন ম্যাকফারলেন তাঁর প্রাণ বাঁচান। সেই ঘটনার ভিডিয়ো গত শুক্রবার ‘ক্রেজি ক্লিপ্স’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। নেটাগরিকদের অনেকে ভিডিয়োটি দেখে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। এক জন লিখেছেন, ‘‘যিনি প্রাণ বাঁচালেন, তিনি সত্যিই সুপারম্যান।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘মাঝ আকাশে সহযোদ্ধার প্রাণ বাঁচানোর জন্য ওই স্কাইডাইভারকে কুর্নিশ।’’