দিনের ব্যস্ত সময়। দোকানের সামনে দিয়ে বাইক ছোটাছুটি করছে। রান্নাবান্নাও শুরু করে দিয়েছিলেন দোকানের মালিক। একটু পরেই তাঁর দোকানে ভিড় জমতে শুরু করবে। কিন্তু তার আগেই ঘটল দুর্ঘটনা। যখন তিনি রান্নার কাজে ব্যস্ত, তখন দ্রুত গতিতে একটি বাইক এসে ধাক্কা মারল দোকানে। ভয় পেয়ে ছিটকে গেলেন তিনি। দোকানের ভিতর সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। দোকানের মালিকও আহত। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ডেলিমেলইট্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক বাইকচালক সোজা রাস্তার ধারের একটি রেস্তরাঁর রান্নাঘরে বাইক নিয়ে ধাক্কা মেরেছেন। বাইকচালকের কোনও ক্ষতি না হলেও রান্নাঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। চারদিকে ছিটকে পড়েছে খাবারদাবার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২২ এপ্রিল এই ঘটনাটি তাইল্যান্ডের সামুত সাখোন এলাকার রাস্তার ধারের একটি খাবারের দোকানে ঘটেছে। ৫৪ বছর বয়সি দোকানের মালিকের নাম সুরাত। বাইকটি ধাক্কা মারার সময় তিনি রান্না করছিলেন।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, দোকানের ধারে একটি বাইক দাঁড় করিয়ে তার উপর বসেছিলেন চালক। দূর থেকে দ্রুত বেগে একটি বাইক সে দিকে ধেয়ে এল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকটিকে ধাক্কা দিল। তার পর সোজা গিয়ে রেস্তরাঁর রান্নাঘরে ঢুকে পড়ল বাইকটি। সেই সময় রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন সুরাত। বাইকটি সোজা তাঁর দিকেই এগিয়ে গেল। ভয় পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে ছিটকে দূরে চলে গেলেন সুরাত। রান্নাঘরের জিনিসপত্র ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
জানা গিয়েছে যে, বাইকচালকের কোনও ক্ষতি হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে সুরাতকে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা বাইকচালকেরও কোনও ক্ষতি হয়নি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন বাইকচালক। দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুরাতের কন্যা ক্ষতিপূরণ হিসাবে বাইকচালকের কাছে ৫ হাজার তাই ভাট (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৩ হাজার ১০৬ টাকা) দাবি করেছেন।