পার্লামেন্টের ভিতর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে। কিন্তু সে দিকে মন নেই আইনসভার তরুণ সদস্যের। টেবিলের উপর ল্যাপটপ খুলে সেখানে গরিলার ছবি দেখছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, হাতে কাগজ-পেনসিল নিয়ে সেই গরিলার ছবি আঁকছিলেনও। পার্লামেন্টের ভিতর লাগানো সিসিটিভিতে সেই দৃশ্য ধরা পড়তেই বিপাকে পড়েন তরুণ। বৈঠক ফাঁকি দিয়ে আঁকিবুকি কাটছিলেন বলে সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাও করলেন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ফিনিক্সটিভি_নিউজ়’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক তরুণ পার্লামেন্টের ভিতর বসে রয়েছেন। কিন্তু কাজ ছেড়ে তিনি মন দিয়েছেন আঁকিবুকিতে। ল্যাপটপ খুলে একটি গরিলার ছবি আঁকছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এই ঘটনাটি সম্প্রতি ‘রিপাবলিক অফ কোরিয়া’ বা আরওকে (পড়ুন দক্ষিণ কোরিয়া)-র পার্লামেন্টে ঘটেছে।
তরুণের নাম ইয়ো ইয়েনঘা। আইনসভার সদস্য তিনি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হে’র ডিফেন্স অ্যাটর্নি ছিলেন ইয়ো। পার্লামেন্টে অডিট মিটিং চলাকালীন তিনি ল্যাপটপে গরিলার ছবি দেখে তা পেনসিল দিয়ে আঁকছিলেন। পার্লামেন্টের ভিতর লাগানো সিসিটিভিতে তা ধরা পড়লে ইয়ো সকলের কাছে তাঁর আচরণের জন্য ক্ষমা চান। ইয়োর দাবি, মানসিক চাপ কমানোর জন্য তিনি ‘ডুডলিং’ (ছবি আঁকা) করেন।
সাধারণত তিনি এমন বিষয় নির্বাচন করেন যা কম সময়ের মধ্যে আঁকা হয়ে যায়। কিন্তু পার্লামেন্টে বসে তিনি গরিলার এমন ছবি বেছে নিয়েছিলেন যা আঁকতে অনেক বেশি সময় লেগেছিল। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তে ইয়োর পেশাদারিত্ব নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
কেউ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে নানা রকমের চাপ থাকে। সেই চাপ কমানোর জন্য আপনি একটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন, তা সত্যিই ভাল। কিন্তু কাজে ফাঁকি দিয়ে তা করা আপনার উচিত হয়নি। অবসরে সে কাজ করুন।’’