চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাইকে ঘোষণা চলছে। বাচ্চা এবং বয়স্কদের নিয়ে বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে অন্যত্র যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল মসজিদের তরফে। কলমা পাঠ করারও অনুরোধ করা হয়েছিল পাকিস্তানের নাগরিকদের। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর নাকি এমন ঘটনাই ঘটেছিল পাকিস্তানে। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘মোসাদ কমেন্টারি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে যে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরবর্তী দৃশ্য। পাকিস্তানের কোনও এক এলাকায় মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে সেই ভিডিয়োয়। এক ব্যক্তি মাইকে ঘোষণা করে বলছেন, ‘‘বাড়ির বাচ্চা এবং বয়স্কদের নিয়ে ঘরের ভিতর থাকুন। দরজায় তালা দিয়ে দিন। বাইরে যাবেন না। উপরমহলের তরফে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সকলে মিলে কলমা পড়ুন।’’ এমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় নেটাগরিকদের অধিকাংশের দাবি, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের কোনও এলাকার মসজিদ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছিল।
মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানল ভারতীয় বাহিনী। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার জবাব পাকিস্তানকে ভারত নিজের পছন্দের সময়ে এবং পছন্দের স্থানে দেবে বলে নয়াদিল্লির তরফে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার মধ্যরাত পেরিয়ে যাওয়ার পরে সেই আঘাত হানা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডলে ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বহাওয়ালপুরে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ভারত আঘাত হেনেছে বলে কয়েকটি সমাজমাধ্যম পোস্টে দাবি করা হয়েছে। মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে যে, পাকিস্তানে এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে বলে মন্ত্রক বিবৃতিতে দাবি করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।”