কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বা মানসিক নির্যাতন নতুন ঘটনা নয়। কাজের পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারণে কখনও কখনও কর্মী ইস্তফা দিতেও বাধ্য হন। আবার কোথাও প্রতিবাদ করলে ফল হয় উল্টো। প্রতিবাদী কর্মীর উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসে। চাকরি খোয়াতে হয় কোনও কোনও ক্ষেত্রে। ঠিক সেই রকমই কাজে যোগ দিয়ে অস্বাভাবিক মানসিক চাপ ও যৌন হয়রানির অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন রেডিট ব্যবহারকারী এক তরুণী। তিনি যে সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তাঁর সিইও তাঁর বিরুদ্ধে অফিসে বসে পর্ন ভিডিয়ো দেখার অভিযোগ তুলেছিলেন বলে জানান ওই তরুণী! বেঙ্গালুরুর একটি স্টার্টআপ সংস্থায় কাজ করতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন সমাজমাধ্যমে।
পোস্টে তরুণী লেখেন, তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির শেষ বর্ষে একটি স্টার্টআপ সংস্থায় ডিজ়াইনার হিসাবে যোগ দেন। চাকরির জন্য তিনি নিজের শহর ছেড়ে বেঙ্গালুরু চলে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন ওই সংস্থার একমাত্র ডিজ়াইনার যিনি সরাসরি সিইও-র অধীনে কাজ করতেন। তাঁর দুই মাসের ইন্টার্নশিপ শেষে তাঁকে তাঁর কাজের পর্যালোচনার জন্য ডাকা হয়। সেই ভরা সভায় সংস্থার সিইও তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তরুণী। সিইও সকলের সামনে সরাসরি তাঁকে বলে বসেন, ‘‘আমি জানি না তুমি বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে এসেছ, না কি তোমার প্রেমিকের সঙ্গে ফূর্তি করতে এসেছ। আমার মনে হয় না তুমি কাজ করো।’’
আরও পড়ুন:
অফিসে একমাত্র মহিলা কর্মী ছিলেন বলে তিনি একটু দূরে বসতেন বলে দাবি করেছেন ওই তরুণী। তাতেও সমস্যা হত সিইও-র। অন্য কর্মীদের সঙ্গে না বসার কারণ জানতে চেয়ে বলেন, ‘‘তুমি দূরে বসে থাকো কেন? তুমি কি পর্ন দেখো?’’ দেড় বছর ওই পরিবেশে চাকরি করার পর তিনি বাধ্য হয়ে ইস্তফা দেন বলে জানান তরুণী। তাঁর এই পোস্টটি ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের মধ্যে। অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, তাঁরা এই ধরনের মানসিক চাপের মধ্যেই সংস্থায় চাকরি টিকিয়ে রেখেছন।