বহু বছর ধরে একা থাকেন মহিলা। তাঁর একমাত্র কন্যা বাইরে থাকেন। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও বিশেষ যোগাযোগ নেই তাঁর। দিনের অধিকাংশ সময় অনলাইন মাধ্যমে কেনাকাটা করেই কাটান মহিলা। কেনাকাটা করে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন তিনি। বাক্সবন্দি পণ্যের সংখ্যা এতই বেড়ে গিয়েছে যে, তাঁর বাড়ির ভিতর আর তিলধারণের জায়গা ছিল না।
বাড়ির তলায় গ্যারাজেও মালপত্র রাখতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও আর পা রাখার জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে আলাদা একটি ফ্ল্যাট কিনলেন তিনি। অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার পর যে প্যাকেটগুলি এখনও তিনি খুলতে পারেননি, সেগুলি সব নতুন ফ্ল্যাটে চালান করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি চিনের সাংহাইয়ের জিয়াদিং জেলায় ঘটেছে। ৬৬ বছরের মহিলার নাম ওয়াং। আগে ডাউনটাউন এলাকায় বড় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। পরে সেটি বিক্রি করে দেন। শহরতলিতে কম খরচে একটি বাড়ি কিনে ফেলেন তিনি। প্রচুর টাকার মালিক ওয়াং। কী ভাবে টাকা খরচ করবেন তা বুঝে উঠতে পারতেন না তিনি। পাছে অন্য কেউ তাঁর কাছে টাকা ধার চেয়ে বসেন তাই অন্য উপায় খুঁজে বার করলেন ওয়াং। অনলাইনে শপিং করা শুরু করলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
খাবারের সামগ্রী থেকে শুরু করে প্রসাধনী, সোনার গয়না— সব কিছুই অনলাইনে কিনতেন তিনি। সারা দিনে তাঁর বাড়িতে এত পার্সেল আসত যে, সব খুলে দেখার সময়ই পেতেন না ওয়াং। দিনের পর দিন প্যাকেটবন্দি পণ্য জমা হতে হতে পার্সেলের পাহাড় তৈরি হয়ে যায় ওয়াংয়ের বাড়ির ভিতর।
এমনকি, তাঁর বাড়ির তলায় গ্যারাজেও আর জায়গা ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ির কাছাকাছি একটি ফ্ল্যাট কিনে ফেলেন ওয়াং। সেই ফ্ল্যাটে না খোলা প্যাকেটগুলি চালান করে দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ২০ লক্ষ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা) খরচ করে ফেলেছেন মহিলা।