বহু বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তরুণী। প্রণয়ের সম্পর্ক যে ভবিষ্যতে পরিণতি পাবে, তা নিয়েও নিশ্চিত ছিলেন যুগল। সময় বুঝে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েও ফেলেছিলেন তরুণ। কিন্তু সকলের সামনে আংটি হাতে নিয়ে হাঁটু মুড়ে বসতেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল তাঁর। বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন তরুণী। কম দামি আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে প্রেমিককে বিয়ে করতে রাজি হলেন না তরুণী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণীর নাম প্রিসিলা। টাইলার নামে এক তরুণের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। গত এক বছর ধরে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা। প্রেমিকাকে কী ভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেবেন তা নিয়েও আকাশকুসুম ভেবে ফেলেছিলেন টাইলার। অবশেষে তাঁদের জীবনে সেই বিশেষ দিন আসে।
বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে খুশি হলেও প্রেমিকের হাতে ধরা আংটির মূল্য দেখে খেপে যান তরুণী। সকলের সামনে বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। পরে সেই বিষয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হলে প্রিসিলা তাঁর প্রেমিককে নিজের দাবি স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন। তরুণের কেনা আংটির ছবি এবং যুগলের চ্যাটের স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
প্রিসিলা এবং টাইলার তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে সুখী ছিলেন। তবুও প্রিসিলা কেন তাঁদের সম্পর্ককে কোনও পরিণতি দিতে চাইলেন না, সে প্রশ্ন করেন টাইলার। প্রেমিকের প্রশ্ন শুনে প্রিসিলা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সময় টাইলারের কাছ থেকে তিনি কোন আংটি পরতে চেয়েছিলেন তা নাকি আগে থেকেই জানিয়েছিলেন। বার কয়েক সেই বিশেষ আংটি প্রসঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন তাঁরা। সব জানার পরেও টাইলার এমন আংটি কিনে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা খুবই সাধারণ।
আরও পড়ুন:
টাইলারের দাবি, তিনি ৮৯৮ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ হাজার টাকারও বেশি) খরচ করে আংটিটি কিনেছিলেন। প্রিসিলার যে আংটি পছন্দ ছিল, তাঁর মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। সেই আংটি কেনার সামর্থ্য ছিল না টাইলারের। তা প্রিসিলাকে জানাতেই নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও নিশ্চিত হয়ে যান তরুণী। তিনি বলেন, ‘‘তুমি যে আমায় বিয়ে করতে চাও, তা নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। তোমার প্রচেষ্টা দেখে আমি খুশি হয়েছি। তার গুরুত্বও রয়েছে আমার কাছে। কিন্তু আমি আংটিবদলের সময় গুরুত্ব পেতে চাই।’’
ছবি: সংগৃহীত।
প্রিসিলা আরও বলেন, ‘‘আমি তোমায় বেশ কয়েক বার আমার ইচ্ছার কথা জানিয়েছি। কিন্তু তুমি আমার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দাওনি। তোমার কাছে যা সুবিধাজনক মনে হয়েছে, তুমি তা-ই করেছ। আমি চাই না, দায়সারা ভাবে আমায় কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিক। আংটি দিয়েই তোমার জীবনে আমার গুরুত্ব বোঝানো যেত। তুমি আমায় প্রাধান্য দাওনি। এ ভাবে অন্তত সারা জীবন পথ চলা যায় না।’’
চ্যাটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়তেই কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তরুণী। নেটাগরিকদের একাংশ লিখেছেন, ‘‘দাম দেখেই কি ভালবাসার বিচার করা যায়? আপনার প্রেমিক তো হাজার হাজার টাকা খরচ করেই আংটি কিনেছিলেন।’’ আবার নেটপাড়ার এক পক্ষের দাবি, ‘‘প্রেমিকার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলেই তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি। তরুণী মনে হয় অর্থের দিক দিয়ে বিষয়টি দেখেননি।’’