ভ্রমণে রণবীর ও দীপিকা
বিয়ে তো হল, মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন তো? বিয়ের খরচে ইতিমধ্যেই নাস্তানাবুদ। হানিমুনের খাতে খরচ একটু কমাতে চাইলে কেরলের এই তিনটি জায়গা তালিকায় রাখতে পারেন। খরচ সাধ্যের মধ্যে। তাই দাম্পত্যের এই মিষ্টিমধুর অধ্যায়ের আনন্দ ও উদযাপনের সাধের সঙ্গে আপসও করতে হবে না।
জীবনসঙ্গীকে নিয়ে সাগরপারে, এর থেকে মধুর আর কী বা হতে পারে! সুন্দর, পরিচ্ছন্ন এবং শান্ত সমুদ্রসৈকতের অভিজ্ঞতা চাইলে ঘুরে আসুন কোভালমে। সারি বেঁধে একের পর এক ছবির মতো সমুদ্রতট। লাল-সাদা আলোর বাতিঘর হাতছানি দেয় যেন। এখানে হোটেল পেয়ে যাবেন সাধ্যের মধ্যেই। সৈকতের কাছেই রয়েছে ভিঝিনজাম জামা মসজিদ এবং সাগরিকা মেরিন রিসার্চ অ্যাকোয়ারিয়াম।
প্রাচ্যের ভেনিস অর্থাৎ কেরলের আলেপ্পি শহর আধুনিকতা ও সাবেকিয়ানার এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। শহর ঘিরে সমুদ্র এবং হ্রদ। এখানে স্থাপত্য-ভাস্কর্যগুলি শহরের যৌবন ও সৌন্দর্যের সাক্ষ্য বহন করে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই মনে করায় ইতালির সুসজ্জিত শহরের কথা। এখানে প্রতিটি নদী, হ্রদ ও সমুদ্র পরস্পরের সঙ্গে প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিম ভাবে সংযুক্ত। আলেপ্পিতে গিয়ে হাউজ বোটে অবশ্যই থাকতে হবে। না হলে মূল অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। রয়েছে একগুচ্ছ ঘোরার জায়গা যেমন আলেপ্পি বিচ, মারারি বিচ, ভেমবানাড় হ্রদ, কৃষ্ণপুরম প্যালেস, পথিরমনল, আর্থুকল চার্চ, মন্নারশলা মন্দির, কুট্টানড় ব্যাকওয়াটার, অম্বালাপূজা মন্দির, সেন্ট মেরি রোরান চার্চ এবং কারুমাদুকুট্টন মূর্তি।
কেরলের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম মুন্নার। পশ্চিমঘাটের সব থেকে সুন্দর স্থান বলে বিবেচিত এটি। পাহাড়ের ধাপে ধাপে চা বাগান, মেঘের রাশির অপরূপ সৌন্দর্যে মন ভরে যাবেই। চারপাশে রোমান্স আর রোমাঞ্চের ছোঁয়া। রাজ্যের যাবতীয় সৌন্দর্য যেন এসে জমা হয়েছে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে। রয়েছে ট্রেকিং ও রক ক্লাইম্বিং –এর সুযোগ। এ ছাড়া, নৌকা বিহারের ব্যবস্থাও রয়েছে। এরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যান, মাত্তুপেট্টি বাঁধ, আনাইমুদি, ব্লসম পার্ক, চিয়াপারা জলপ্রপাত, কুদালা হ্রদ, কোক্কুমালাই, চিথিরাপুরম লাইট অফ পাই চার্চ-সহ নানা পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে আশপাশে। চা বাগানে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে ডুয়েট গাইবেন নাকি?
এই প্রতিবেদনটি ‘সাত পাকে বাঁধা’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy