আগাম খবর না দিয়ে অভিযান চালিয়ে ভুয়ো নম্বর প্লেট নিয়ে ছুটে চলা ১১টি অটোর খোঁজ পেল পরিবহণদফতর। এর মধ্যে বরাহনগর এলাকায় দু’টি এবং বেলঘরিয়া থানা এলাকায় ন’টি অটোর সন্ধান মিলেছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ বারিকের নেতৃত্বে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা যৌথ ভাবে অভিযান চালান। ব্যারাকপুর এবং বারাসত— এই দু’জায়গায় আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কর্তা এবং আধিকারিকেরা এই অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
বরাহনগর এবং ডানলপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ দিন পুরনো বাস, অ্যাম্বাসাডর ছাড়াও ১৯৮৫ সালের গাড়ির নম্বর প্লেট ব্যবহার করে চলা অটোর হদিস মিলেছে। সব ক’টি ক্ষেত্রেই ব্যারাকপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত অটোগুলি বাজেয়াপ্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, পারমিট এবং রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই পুরনো অটো রং করে, তাতে ভুয়ো নম্বর প্লেট বসিয়ে চালানো হচ্ছিল।
ভুয়ো নম্বর প্লেট নিয়ে চলা অটোর ছবি দিনকয়েক আগে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ ছিল, বরাহনগর বিধানসভা এলাকায় সিঁথি থেকে কামারহাটির মধ্যে ভুয়ো নম্বর প্লেট নিয়ে চলছে একাধিক অটো। পরিবহণ দফতরের বারাসত আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে নথিভুক্ত একটি বাস এবং একটি মালবাহী গাড়িরনম্বর ব্যবহার করে চলা অটোর ছবিও শেয়ার করেছিলেন সজল। তাঁর ওই পোস্টের পরেই নড়েচড়ে বসে পরিবহণ দফতর।
রাস্তায় অটো নামানোর নামে বিপুল টাকার লেনদেন হওয়ার অভিযোগও এনেছিলেন সজল। এ দিন পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘যদি প্রশাসন সত্যিই সক্রিয় হয়, তা হলে ভাল। ডানলপ, সিঁথি এলাকায় অটো-রাজ চলছে। এক-একটি অটো নামাতে ১০-১৫ লক্ষ টাকা দিতে হয়। প্রয়োজনে বাস রুট বন্ধ করে অটো চালানো হচ্ছে।’’
পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা অবশ্য টাকার লেনদেন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাস্তায় বেআইনি অটো দেখলেই আটক করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিন উপযুক্ত নথি না থাকার কারণে একাধিক অটোকে জরিমানাও করা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)