বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। ছবি: পিটিআই।
লাগাতার বৃষ্টিতে ধসের জেরে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুংয়ের সঙ্গে গোটা রাজ্যেরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বিপর্যয়ের জেরে সিকিমে এখনও ১২০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন। বিদেশি ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশের, তিন জন নেপাল ও দু’জন তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। তাঁদের কী ভাবে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব, আপাতত তাই নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গন ও চুংথাংয়ের সংযোগকারী বেইলি সেতুটি ভেঙে গিয়েছে। ধসের জেরে বহু রাস্তা বন্ধ। বহু বাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এই পরিস্থিতিতে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছিল শুরুর দিকে। ধীরে ধীরে সেই সমস্যা মিটছে। আটকে পড়া পর্যটকেরাও সুস্থই রয়েছেন। আবহাওয়া ভাল হলে যাতে তাঁদের বিমানে উদ্ধার করা যায়, তার জন্যই ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সড়কপথেও কী ভাবে পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব, তা-ও দেখা হচ্ছে।
এই অবস্থায় অরুণাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘরছাড়াদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।’’
সিকিমের পরিস্থিতির জেরে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকের যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ বলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পঙের জেলা প্রশাসন। জানানো হয়েছে, ছোট গাড়ি আপাতত মানসং-১৭ মাইল-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত করতে পারবে। তুলনামূলক বড় এবং ভারী গাড়িগুলি পেডং-আলগাড়া-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারবে। পাশাপাশি কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার জন্য ২৭ মাইল থেকে তিস্তা ভ্যালি হয়ে পৌঁছনো যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy