Advertisement
E-Paper

জেল হেফাজত সিপিএম সম্পাদক-সহ ১৩ জনের

সোমবার বাম বিক্ষোভে তমলুকে জেলাশাসকের দফতরে ২৮টি গাড়িতে ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয় পুলিশও। সেই ঘটনায় মোট ৭৩ জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:২০
প্রতীক ছবি।

প্রতীক ছবি।

বাম বিক্ষোভ ঘিরে সোমবার ধুন্ধুমার বাধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বারাসত, বাঁকুড়া, তমলুক— সর্বত্রই সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশকে মারধরের অভিযোগে বাম কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বেশির ভাগই জামিনে ছাড়াও পেয়েছেন। ব্যতিক্রম শুধু পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর। তমলুকের ঘটনায় ধৃত সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি-সহ ১৩জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ। সকলকেই মঙ্গলবার ১৪দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে তমলুক আদালত।

সোমবার বাম বিক্ষোভে তমলুকে জেলাশাসকের দফতরে ২৮টি গাড়িতে ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হয় পুলিশও। সেই ঘটনায় মোট ৭৩ জন সিপিএম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে নিরঞ্জনবাবু ছাড়াও ছিলেন সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য চিত্ত খান, পরিতোষ পট্টানায়েক। ৬০জনকে রাতেই ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ছাড় পাননি নিরঞ্জনবাবু, চিত্তবাবু, পরিতোষবাবুরা। সরকারি কাজে বাধা দান, পুলিশকে আক্রমণ, খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ মোট ১৫টি ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যার বেশির ভাগই জামিন অযোগ্য।

সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের দায়ে রাজনৈতিক কর্মীদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের বিল বিধানসভায় পাশ হওয়ার সময়েই বামেরা প্রশ্ন তুলে বিরোধীদের ‘ফাঁসানো’র আশঙ্কা করেছিল। ওই বিল আইনে পরিণত হওয়ার পরেই কলকাতায় মিছিলে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার দায়ে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই রাজ্য নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। এ বার একই ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএম নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও।

স্বভাবতই নিরঞ্জনবাবুদের এই গ্রেফতারের পিছনে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দেখছেন বাম নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব এ দিন বলেন, ‘‘গোটাটাই সাজানো। পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদের নেতা-কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এ দিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় নিরঞ্জনবাবুদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নামেন বাম কর্মীরা। ধৃত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে আদালতেও গিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মিনতি ঘোষ, কোলাঘাটের বিধায়ক ইব্রাহিম আলির মতো নেতারা।

CPM Protest Unrest সিপিএম
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy