ভারত বিদ্বেষী পোস্টের মাধ্যমে হিংসা এবং অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগে হুগলি থেকে গ্রেফতার দুই। অভিযোগ, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের মাঝে সমাজমাধ্যমে দেশবিরোধী পোস্ট করেছিলেন বলাগড় এবং পান্ডুয়ায় দুই যুবক। তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ পৃথক ভাবে দু’টি অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। শনিবারই অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ দিয়ে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে পাল্টা আক্রমণে সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনা চরমে। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে সমাজমাধ্যমে ছড়ানো নানা ভিডিয়ো, ছবি পোস্ট করে জনমানসে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের পোস্ট থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে দেশের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক। আর এমন সময়েই সমাজমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট করায় বলাগড় থেকে গ্রেফতার হয়েছেন শেখ সামসের আলি নামে এক ব্যক্তি। পান্ডুয়ার শুকুর আলি সরকার নামে এক ব্যক্তিকেও একই অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তদের চুঁচুড়া আদালতে পাঠানো হয়।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি (অপরাধ) অভিজিৎ সিংহ মহাপাত্র বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারত বিদ্বেষী পোস্ট, হিংসার মাধ্যম অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।’’ বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘যেখানে দেশের ১৪০ কোটি মানুষ সেনাবাহিনীর জন্য গর্ববোধ করছে, সেখানে বলাগড়ের এক জন মানুষ পাকিস্তান বাংলাদেশের সমর্থনে পোস্ট করে যাচ্ছে! ভারত ধ্বংস হোক, সেই দাবিতে পোস্ট করছে! তাকে জঙ্গি ছাড়া আমরা কিছু মনে করি না।’’ বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ‘‘দেশ সবার আগে। সেনাবাহিনীর মনোবলে আঘাত লাগে, এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। তাই দেশবিরোধী কোন মন্তব্য যদি কেউ করে থাকে তবে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’’
অন্য দিকে, আদালতে যাওয়ার বলাগড় থেকে ধৃত অভিযুক্ত বলেন, ‘‘ভুল করে ওই পোস্ট করে ফেলেছি।’’