কেউ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। কেউ ততটা না হলেও দীর্ঘ মেয়াদে জেল খাটছেন। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এমনই কুড়ি জন মহিলা বন্দি এ বার স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করবেন, জেলা প্রশাসন ও কারা দফতরের তত্ত্বাবধানে। প্রশাসন সূত্রে বক্তব্য, জেলার প্রান্তিক বহু এলাকাতেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের অভাব রয়েছে। সেই ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও হোমগুলিতে এই ন্যাপকিন সরবরাহ করা হবে। বিলোনো হবে জেলের মধ্যেও। খোলা বাজারেও বিক্রি করা হবে।
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ইতিমধ্যেই বেকারি চালু হয়েছে৷ পোশাক বা কাঠের আসবাব তৈরির কর্মশালাও হয়েছে। এমনকী, তেল পরিশোধন যন্ত্রও বসেছে। এ বারে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মাসখানেক আগে এই ভাবনা নিয়ে তাঁরা প্রথম আলোচনা শুরু করেন। তার পরে কথা বলেন কারা দফতরের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে।
কেন স্যানিটারি ন্যাপকিন? জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানান, মেয়েদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই স্কুল-কলেজে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। সম্পূর্ণা প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে এই ন্যাপকিন তৈরির কাজ আগেও অন্যত্র হয়েছে। এমনকী, জেলের আবাসিকদের দিয়েও স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির কাজ দু’একটি জায়গায় শুরু হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী সব মিলিয়ে জোগান অত্যন্ত কম। জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলের আবাসিকরা কাজ শুরু করলে কিছুটা হলেও চাহিদা মিটবে।