রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন পদে কর্মরত ২৩ জন ‘দক্ষ’ পুলিশকর্তাকে ‘বিশেষ ডিউটি’তে পাঠানো হল মুর্শিদাবাদে। রবিবার তাঁদের শমসেরগঞ্জ থানায় রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। এই মর্মে শনিবার রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। বাহিনী মোতায়েনের পর রবিবার জেলায় পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি করণি সিংহ শেখাওয়াত।
আরও পড়ুন:
মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, তিনি বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এর পরেই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নেমে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পুলিশের জারি করা নির্দেশিকা।
যে সব এলাকায় অশান্তি ছড়িয়েছিল, রবিবার সকালে সেই সব এলাকা পরিদর্শন করলেন বিএসএফের আইজি। পরে তিনি বলেন, ‘‘যত দিন পুলিশ চাইবে, তত দিনই বিএসএফ মোতায়েন থাকবে ওই এলাকায়। জওয়ানদের আরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশকেও সব রকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিএসএফের আইজি।
তৎপর পুলিশও। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় পৌঁছোনোর পর জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ডিজি রাজীব। ওই বৈঠকের পরেই বিভিন্ন জেলার বাছাই করা পুলিশকর্তা ও কর্মীদের ‘স্পেশ্যাল অন ডিউটি’তে দ্রুত জঙ্গিপুরে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার দিনের জন্য তাঁদের মুর্শিদাবাদে ‘বিশেষ দায়িত্ব’ দেওয়া হয়েছে। রবিবার মুর্শিদাবাদে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
রবিবার সকালে শমসেরগঞ্জে গিয়েছেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। একধাপ এগিয়ে মুর্শিদাবাদে ‘আফস্পা’ দাবি করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো।