অস্বাভাবিক মৃত্যু হল সারদার এক এজেন্টের। তাপস দাস (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি হাসনাবাদের বরাজপুর গ্রামে। জমা টাকা ফেরত দিতে না পারায় গ্রাহকদের কাছে তাঁকে নিয়মিত গঞ্জনা শুনতে হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পরিবারটি। তাদের দাবি, সে কারণেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাপসবাবু। অর্থলগ্নি সংস্থায় রাখা টাকা ফিরত দিতে না পারায় এই নিয়ে গত কয়েক মাসের মধ্যে বসিরহাটে এক দম্পত্তি-সহ মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বরুণহাট-রামেশ্বরপুর পঞ্চায়েতর এলাকায় সারদার এজেন্ট হিসাবে বেশ নামডাক ছিল তাপসবাবুর। তিন বছর সারদায় কাজ করার সুবাদে এলাকার মানুষ তার মাধ্যমে ওই কোম্পানিতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা রেখেছিলেন।
কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে টাকা ফেরতের দাবিতে গ্রাহকেরা সোচ্চার হতে শুরু করেন। টাকা ফেরত দিতে না পারলে তাপসবাবুকে খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। দিন দিন চাপ বাড়ছিল। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি। গত কয়েক মাস ধরে কার্যত নিজেকে তিনি ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন বাড়ির লোকজন।