হাসপাতাল চালু করার দাবিতে আজ বুধবার ১২ ঘণ্টা বন্ধ ডাকল গোবরডাঙা পৌর উন্নয়ন পর্ষদ এবং হাসপাতাল বাঁচাও কমিটি।
এই বন্ধে সমস্যায় পড়েছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। কারণ মুখ্যমন্ত্রী বন্ধের বিরুদ্ধে। আবার বন্ধকে সমর্থন না করলে গোবরডাঙাবাসী এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বকে ভুল বুঝতে পারেন। এই অবস্থায় দোটানায় পড়েছে এলাকার তৃণমূল নেতারা।
বুধবার তৃণমূল কী করবে এখন সে দিকেই তাকিয়ে এলাকাবাসী। যদিও গোবরডাঙা শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর দত্ত বলছেন, ‘‘আমরা ওই বন্ধকে সমর্থন করছি না। আমাদের বিশ্বাস, কোনও কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাসপাতাল নিয়ে সঠিক তথ্য ছিল না। তিনি শীঘ্রই বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে হাসপাতাল চালু করবেন।’’
তৃণমূলের পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত জানান, বুধবার পুরসভা স্বাভাবিক দিনের মতোই খোলা থাকবে। যদিও সিপিএম নেতা শঙ্কর নন্দী হাসাপাতাল বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে বন্ধ সমর্থনের জন্য বলেছেন পুরপ্রধান।
দিন কয়েক আগে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ব্যারাকপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরপ্রধান সুভাষ দত্তকে বলেছিলেন, ‘‘হাসপাতাল হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর গোবরডাঙার মানুষ ক্ষুব্ধ হন। এরপরেই শুরু হয় মিটিং মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ আন্দোলন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওঠে প্রতিবাদের ঝড়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ হলেও প্রকাশ্যে তার প্রতিবাদ করতে পারছেন না। সেই সুযোগে গোবরডাঙা হাসপাতাল বাঁচাও কমিটি তৈরি করে আসরে নেমে পড়েছে সিপিএম।
বন্ধ সফল করতে পৌর উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দিন কয়েক ধরে গোবরডাঙায় মিটিং মিছিল করা হচ্ছে। বন্ধ সমর্থন করার জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পরিষদের সদস্যেরা বাজারগুলিতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বুধবার দোকানপাট বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছেন।
পরিষদের সহ সভাপতি পবিত্রকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সবার কাছে আবেদন করা হয়েছে। ভাল সাড়া মিলেছে। আমরা আশা করছি বন্ধ সফল হবে। কারণ হাসপাতালের দাবি সকলের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy