Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Falta

ফলতায় খুনের ঘটনায় ধৃত ৩ 

খুনের কারণ নিয়ে প্রথম দিকে ধোঁয়াশায় ছিল পুলিশ। পরে খুনের কিনারা করতে পুলিশের একটি তদন্তকারী দল তৈরি হয়।

পুলিশের জালে তিন দুষ্কতী। নিজস্ব চিত্র

পুলিশের জালে তিন দুষ্কতী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ফলতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ০০:৩৫
Share: Save:

গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করল। রবিবার রাতে ফলতার তালান্ডা গ্রাম থেকে মোস্তাক ওরফে টাকলা, এবাদুল মোল্লা ওরফে বাবুসোনা ও নাজিমুদ্দিন দফতরি নামে তিনজন দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। এবাদুলের বাড়ি রামনগরের বাংলা গ্রামে ও নাজিমুদ্দিনের বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের সরিষা নারায়ণতলায়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা। তাদের সোমবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ অগস্ট বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সরিষা ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক লক্ষ টাকা তুলে ফলতার বড়খালি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন গৌরাঙ্গ কয়াল (৪৬)। সে সময়ে তালান্ডা গ্রামের রাস্তায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। পরে জখম অবস্থায় পড়ে থাকা গৌরাঙ্গকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। থানায় খুনের অভিযোগ করেন নিহতের স্ত্রী। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক জোগান দিতেন গৌরাঙ্গ। খুনের কারণ নিয়ে প্রথম দিকে ধোঁয়াশায় ছিল পুলিশ। পরে খুনের কিনারা করতে পুলিশের একটি তদন্তকারী দল তৈরি হয়। তদন্তকারী দল প্রথমেই যেখানে খুনের ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন। বাসিন্দাদের কাছে থেকে পুলিশ জানতে পারে, খুনের আগে মোস্তাক ওরফে টাকলা ওই রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করেছে। সেই মতো পুলিশ মোস্তাকের উপরে নজরদারি চালাতে শুরু করে। পুলিশ মোস্তাকের বাড়িতে যায়। কিন্তু সে পালিয়েছিল। পরে ধরা প়ড়ে যায়।

ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে ফলতা থানায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ওই তিন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই মতো খুনের ঘটনার পর সকলের উপরে নজরদারি চলছিল। ওরা তিনজনেই কোথাও পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার ছক করছিল। পুলিশ আগেভাগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতেই তালান্ডা গ্রাম থেকে তিনজনকে ধরে ফেলে। তবে আগ্নেয়াস্ত্রটি এখনও উদ্ধার হয়নি। মূলত টাকা ছিনতাই লক্ষ্য ছিল। তবে আরও কারা এই ঘটনায় যুক্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গৌরাঙ্গের পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, ৩ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে। কত টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তিনি তুলেছিলেন, তা জানার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Falta Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE