Advertisement
E-Paper

দুর্যোগের রাতেই এল নতুন প্রাণ

মৌসুমিদের বাড়ি যেখানে, তার চারদিক নদীবেষ্টিত। হাসপাতালে যেতে নদী পারাপার করতে হয়। গ্রামের এক অটো চালকের হাতেপায়ে ধরে তাঁকে রাজি করিয়ে বাড়ির লোকজন আসেন চণ্ডীপুর খেয়াঘাটে।

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৯:২৪
স্পন্দন: গোসাবা হাসপাতালে ঠাকুমার কোলে সদ্যোজাত। নিজস্ব চিত্র

স্পন্দন: গোসাবা হাসপাতালে ঠাকুমার কোলে সদ্যোজাত। নিজস্ব চিত্র

সিত্রাংয়ের প্রভাবে রবিবার রাত থেকে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছিল বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। সোমবার রাতেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রসব বেদনা শুরু হয় গোসাবা ব্লকের বিপ্রদাসপুর এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী সিংহের।

পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে একটি অটোয় তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পথেই প্রসব হয়ে যায়। মৌসুমি ও তাঁর সদ্যোজাত ছেলেকে প্রশাসনের তৎপরতায় গোসাবা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৌসুমিদের বাড়ি যেখানে, তার চারদিক নদীবেষ্টিত। হাসপাতালে যেতে নদী পারাপার করতে হয়। গ্রামের এক অটো চালকের হাতেপায়ে ধরে তাঁকে রাজি করিয়ে বাড়ির লোকজন আসেন চণ্ডীপুর খেয়াঘাটে।

কিন্তু খেয়া পারাপার বন্ধ ছিল। এ দিকে, অটোর মধ্যে প্রসব বেদনায় ছটফট তখন ছটফট করছেন মৌসুমি। শেষে অটোতেই প্রসব হয়ে যায়। সঙ্গে থাকা এক মহিলা কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেন।

খবর পৌঁছয় গোসাবা ব্লক প্রশাসনের কাছে। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা দ্রুত একটি লঞ্চ নিয়ে চণ্ডীপুর খেয়াঘাটে হাজির হন। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় মা ও সন্তানকে। দু’জনেই সুস্থ বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন গোসাবা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌরভ পুরকাইত।

প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিশুর বাবা শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, “এটা আমাদের তৃতীয় সন্তান। স্ত্রী আগে প্রসব বেদনা অনুভব করতে পারেননি। দুর্যোগের সন্ধ্যা থেকে যন্ত্রণা শুরু হয়। তখনই হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে অটোয় প্রসব হয়ে যায়। প্রশাসন যে ভাবে আমাদের সাহায্য করেছে, তাতে আমরা খুবই খুশি।’’

gosaba Cyclone Sitrang
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy