তরুণীর দাবি, জোর করে তাঁকে গর্ভপাতও করান প্রেমিক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সম্পর্ক প্রায় আট বছরের। কিন্তু বিনা কারণে প্রেমিকাকে ছেড়ে প্রেমিক অন্য এক জনকে বিয়ে করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রেমিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফুলশয্যার আগে শ্রীঘরে গেলেন বর। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার দেবীপুর এলাকায়। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম অভিজিৎ দাস।
দেবীপুরের বাসিন্দা মৌমিতা সরকারের পরিবারের দাবি, প্রতিবেশী অভিজিতের সঙ্গে তাঁদের মেয়ের বছর আটেক প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নিয়মিত ঘুরতে যাওয়া, মেলেমেশা, সবকিছুই চলত। সম্পর্কের কথা দুই পরিবার জানত। কিন্তু মাস তিনেক আগে আচমকা ‘ছন্দপতন’। মৌমিতার দাবি, বাবার সঙ্গে দিঘায় যাচ্ছেন বলে জানিয়ে এক দিন বেরিয়েছিলেন অভিজিৎ। তার পর বাড়ি ফিরে তাঁর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। তার পর খোঁজ খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন যে অভিজিৎ শিলিগুড়িতে একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেছেন। তাঁকেই দেবীপুরের বাড়িতে এনে আবার বিয়ে করেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার বিয়ের অনুষ্ঠানের পর শুক্রবার বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। ওই দিনই গাইঘাটা থানায় গিয়ে অভিজিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মৌমিতা। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম করেছেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার সহবাস করেছেন অভিজিৎ। এখন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন। মৌমিতার কথায়, ‘‘অভিজিৎ আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু বার শারীরিক সম্পর্ক করেছে৷ দু’বার গর্ভপাত করাতে হয়েছে আমাকে। আমি ওকে আর বিয়ে করতে চাই না। তবে আমি চাই আইনের মাধ্যমে ওর উচিত শিক্ষা হোক।’’
এই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে সোজা চলে যায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে। পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত গোবরডাঙার একটি বাড়িতে বউভাতের অনুষ্ঠান করছে। বৌভাতের আসর থেকে অভিজিৎকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিজিতের বাবা অচিন্ত্য দাস বলেন, ‘‘ওই মেয়েটিকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, আমার ছেলেকে বিয়ে করতে চায় কি না। ও বিয়ে করবে না জানিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করেছিল। মিথ্যা সহবাসের অভিযোগ করে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy