দিন দশেক আগে বারুইপুরের বেগমপুরে এক যুবকের গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় রবিবার রাতে ওই যুবকের জামাইবাবু-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, জামাইবাবুই পরিকল্পনা করে শ্যালককে খুন করেছে।
দুর্গাপুজোর পরে, একাদশীর সকালে বেগমপুরের ষাটকলোনি এলাকায় রাস্তার উপরে শান্ত মণ্ডল নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবকের নলি কাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বারুইপুরের পিয়ালি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। পুজোয় মায়ের কাছে এসেছিলেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেই রাতে বারুইপুরের বেলেগাছি এলাকার বাসিন্দা, জামাইবাবু দেবব্রত পাত্রের সঙ্গে ছিলেন শান্ত। সঙ্গে ছিল মিনাজুল পাইক, জসিমউদ্দিন লস্কর। হাফিজুল মোল্লা নামে এক অটোচালকের অটোয় চেপে ঘোরে তারা। রবিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেবব্রত-সহ চার জনকেই ধরে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, দশমীর রাতে দেবব্রত, মিনাজুল ও জসিমউদ্দিনের সঙ্গে হাফিজুলের অটোয় বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন শান্ত। মদ্যপানও করেন। অনেক রাতে ষাটকলোনিতে আসেন বাকিদের সঙ্গে। সেখানেই আগে থেকে জোগাড় করে রাখা কাটারি দিয়ে গলা কেটে খুন করে শান্তের দেহ ফেলে দেওয়া হয়। কাটারি কোথা থেকে জোগাড় করা হয়েছিল, খুন করার উদ্দেশ্যেই মিনাজুল ও জসিমউদ্দিনকে সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কিন্তু কেন শান্তকে খুনের পরিকল্পনা করল দেবব্রত? সূত্রের খবর, শান্তের মতোই বেঙ্গালুরুতে থাকত দেবব্রত। সেখানে খাবার সরবরাহের কাজ করত। কিন্তু সেই কাজে বেশি আয় ছিল না। উল্টো দিকে, শান্ত ব্যবসা করে রমরমিয়ে আয় করছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তা থেকেই প্রবল ঈর্ষা জন্ম নেয় দেবব্রতের মনে। তবে, শান্ত বৈধ পথে ব্যবসা করতেন না বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে এ ব্যাপারে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)