এক তরুণী বধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বারাসতে। তাঁকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে বারাসত থানার পুলিশ। মৃত্যুর কারণ জানতে বধূর দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম নাসরিন সুলতানা (২০)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বারাসতের আক্রমপুর টালিখোলা এলাকায়। সোমবার সেখান থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে। নাসরিনের পরিবারের তরফে তাঁর স্বামী-সহ চার জনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার রাতেই নাসরিনের স্বামী নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার তাকে চার দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, নাজমুল মধ্যমগ্রাম ট্র্যাফিক পুলিশের অস্থায়ী হোমগার্ড। নাসরিনের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলায় তাঁকে খুন হতে হয়েছে।
পুলিশ জানায়, চার মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের এক মাস পর থেকেই স্ত্রীর উপরে নাজমুল শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শুরু করে। নাসরিনের মা-বাবার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, নাজমুলের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। নাসরিন তা জেনে ফেলেন। এর পরে অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে।তরুণীর পরিজনদের আরও দাবি, তাঁরা অশান্তি ঠেকাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। এক সময়ে কিছু দিনের জন্য নাসরিনকে নিয়ে যান তাঁর মা-বাবা।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনার খবর পেয়ে নাসরিনের পরিবারের লোকজন টালিখোলায় গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বারাসত হাসপাতালে দেহ রয়েছে। যদিও নাজমুলের পরিবারের পাল্টা দাবি, নাসরিন আত্মহত্যা করেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)