Advertisement
E-Paper

বিলে ফাঁদ পেতে চোরাশিকার জলচর পাখির! রুখতে উদ্যোগী দুই বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠন

ডব্লিউটিআই-এর ‘ফিল্ড অফিসার’ সম্রাট পাল জানিয়েছেন, চোরাশিকার ঠেকাতে গত শীতকাল থেকেই গ্রামে গ্রামে সচেতনতা প্রচার শুরু করা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ০০:১২
জালে আটকে পাখি।

জালে আটকে পাখি। নিজস্ব চিত্র।

ওদের অনেকের শীতের মরসুমে দক্ষিণবঙ্গে আগমন ঘটে। উত্তর এশিয়া আর ইউরোপের হিমশীতল আবহাওয়া থেকে উষ্ণতার ছোঁয়া পেতে সাময়িক ভাবে অন্য জেলাগুলির পাশাপাশি ভিড় জমায় উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জলাভূমিতে। অনেককে আবার বছরভরই দেখা যায় চৈতার বিল , চালুন্দার বিল কিংবা নাংলার বিলে। সেখানেই বর্ষায় তাদের বাসা বাঁধার প্রজননক্ষেত্র।

কিন্তু সেই বন্যপ্রাণ আইন লঙ্ঘন করে সেই জলচর পাখিদের চোরাশিকারের অভিযোগ ওঠে মাঝেমধ্যেই। এ বার রাজ্য বনবিভাগের সহায়তায় তাদের সুরক্ষার উদ্যোগ শুরু হয়েছে জেলায়। সৌজন্যে, জাতীয় পর্যায়ের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (ডব্লিউটিআই) এবং জেলার প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণপ্রেমীদের সংগঠন ‘বন ফাউন্ডেশন’ (বন্ডিং উইথ অ্যানিমেলস এন্ড নেচার ফাউন্ডেশন)।

ডব্লিউটিআই-এর ‘ফিল্ড অফিসার’ সম্রাট পাল জানিয়েছেন, চোরাশিকার ঠেকাতে গত শীতকাল থেকেই গ্রামে গ্রামে সচেতনতা প্রচার শুরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলেছে, উত্তর ২৪ পরগনা বনবিভাগের সহায়তায় ধারাবাহিক অভিযান। ‘বন ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সৌমিত্র রায়ের কথায়, ‘‘মূলত জলা জায়গার আশেপাশে বা চাষের জমির পাশে টাঙানো হয় পাখি ধরার জাল। শস্যদানা খাওয়ার জন্য যখনই পাখিরা আসে তখনই তারা আটকা পড়ে সেই জালে।’’ তিনি জানান, এই সব ফাঁদের মাধ্যমে পাখি ধরার মূল উদ্দেশ্য মাংস হিসেবে বিক্রি করা।

শীতকালে স্থানীয় বাজারে যার চাহিদা অনেক। বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস, কাদাখোঁচা (স্নাইপ), বালুবাটান (টিবেটান স্যান্ড প্লোভার), স্যান্ডপাইপার, প্যাসিফিক গোল্ডেন প্লোভারের মতো পাখি রয়েছে এই তালিকায়। বর্ষায় প্রজননের মরসুমেও ‘স্থানীয় পরিযায়ী’ (লোকাল মাইগ্র্যান্ট) প্রজাতি শামুকখোল, গ্রে হেরন, লার্জ ইগ্রেট (বড় বক), পার্পল সোয়াম্প হেন, ব্ল্যাক ক্রাউন নাইট হেরনরা মারা পড়ে চোরাশিকারিদের হাতে। সম্রাট জানান, ডব্লিউটিআই-এর এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য, জনসাধারণের মধ্যে পরিযায়ী পাখি ও স্থানীয় জলচর পাখি এবং বাস্তুতন্ত্রে তাদের তাদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি, ফাঁস জাল তুলতে বনবিভাগকে সহযোগিতা করা। এ পর্যন্ত জালবন্দি কয়েকশো পাখিকে তাঁরা মুক্ত করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন। আগামী দিনেও ধারাবাহিক ভাবে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া তাঁদের লক্ষ্য।

WTI North 24 Parganas Bird Trap
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy