E-Paper

বাগদায় যুবক খুন, ধৃত বন্ধু

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সঞ্জীব জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে যুক্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩৪
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পীযূষের (ইনসেটে) পরিবারের সদস্যরা।

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পীযূষের (ইনসেটে) পরিবারের সদস্যরা।

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গলার নলি কেটে বন্ধুকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে খুনের ঘটনাটি ঘটে বাগদার সাগরপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম পীযূষ হালদার (৩৩)। তাঁর বাড়ি বাগদার নোনচাপোঁতা এলাকায়। খুনের অভিযোগে পীযূষের বন্ধু সঞ্জীব ঘটককে রাতেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সঞ্জীব জাল ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে যুক্ত। সে পীযূষের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আর ফেরত না দেওয়ায় আপত্তি জানাচ্ছিলেন পীযূষ। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ও নিহত যুবকের মধ্যে ব্যক্তিগত শক্রতা ছিল। তদন্তে টাকার বিষয়টি-সহ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সকালে অভিযুক্ত যুবক পীযূষের বাড়িতে বসে চা খেতে খেতে গল্প করে। তার পর দু’জন একসঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ স্থানীয় লোকজন সাগরপুরে কিসান মান্ডির পিছনে একটি কলাবাগানে পীযূষের গলার নলি কাটা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মাটিতে চাপ চাপ রক্তের দাগ ছিল। পুলিশ ও বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিৎ সর্দার ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসীরা দেহ তুলতে বাধা দেন। তাঁরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানানোর পাশাপাশি এলাকায় নেশার সামগ্রীর অবাধ বিক্রি ও নেশাখোরদের আড্ডা বেড়েছে বলেও অভিযোগ করেন। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

শুক্রবার সকালে নিহতের মা সরলা হালদার বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবারই জন্মবার ছিল ছেলেটার। ওই দিনই মেরে ফেলল ওকে! আমাদের সংসারে ও একাই রোজগার করত। সঞ্জীব আমার ছেলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছিল না। এটা নিয়ে অশান্তি চলছিল।’’ বাগদার পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘‘অভিযুক্ত সঞ্জীব একটি চক্র চালাত। যারা নকল আধার ও ভোটার কার্ড, বিভিন্ন শংসাপত্র, পাসপোর্ট তৈরি করত। এক বার সঞ্জীবকে সতর্কও করে দিয়েছিলাম। তার পরেও কারবার বন্ধ করেনি।’’

তদন্তকারীরা জানান, সঞ্জীবের এই জাল আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড তৈরি চক্রে আর কে কে জড়িত, খুনের সময় অন্য কেউ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bagda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy