E-Paper

আশা করছি এ বার নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হবে

আমি বিবাহিত, সংসার আর বাচ্চাকে সামলে যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে প্রথম বার এই পরীক্ষায় বসেছি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৩
পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে চলছে নথি পরীক্ষা। বনগাঁয়।

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে চলছে নথি পরীক্ষা। বনগাঁয়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।

প্রথমেই সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ কোর্টের নির্দেশের ফলেই আমি এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ ঘিরে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরেও যদি আদালত হস্তক্ষেপ না করত, তা হলে হয় তো আমাদের মতো প্রার্থীদের সুযোগই আসত না। আশা করছি, এ বার নিয়োগ পদ্ধতি স্বচ্ছতার সঙ্গেই হবে।

আমি বিবাহিত, সংসার আর বাচ্চাকে সামলে যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে প্রথম বার এই পরীক্ষায় বসেছি। শ্বশুরবাড়ির সকলে সাহায্য করেছেন। স্বামী বাইকে করে আমায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু তেরো মাসের মেয়েকে রেখে আসাটা সহজ ছিল না। তবে যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হয়নি। পুলিশ কর্মীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন, এলাকায় টহলও চলছিল।

পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। দু’তিন দফা নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। কেউ যাতে কোনও অবাঞ্ছিত জিনিসপত্র ভিতরে আনতে না পারে, সে দিকে বিশেষ নজরদারি ছিল।

কেন্দ্রে ঢুকে দেখলাম, নিয়মকানুন কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে। পরীক্ষার পরবর্তী মূল্যায়নেও এই শৃঙ্খলা আর স্বচ্ছতা বজায় থাকুক, সেটাই কাম্য। সব মিলিয়ে আমার পরীক্ষা মোটামুটি ভালই হয়েছে। শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন আমি দেখেছি বহু দিন ধরে। আশা করি, সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এ বার কোনও দুর্নীতি বাধা হবে না।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangaon SSC Exam

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy