বিজেপির মহিলা প্রার্থীর জুতোপেটা। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টে চত্বরে দলীয় কর্মীদের আক্রমণের শিকার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি। তাঁকে প্রকাশ্যে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠল দলের এক মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। এ ব্যাপারে ‘আক্রান্ত’ বিজেপি নেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের কিছু লোক দলের ভিতরে ঢুকে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। শাসকদল অবশ্য এই ঘটনায় জড়িত থাকার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার জন্য বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে গিয়েছিলেন মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি প্রদ্যোৎ বৈদ্য। সেখানেই তাঁর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রদ্যোৎকে আদালত চত্বরে মারধর করছেন এক মহিলা। তাঁকে জুটোপেটাও করা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, যাঁর বিরুদ্ধে প্রদ্যোৎকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, সেই মহিলার নাম আমবিয়া বিবি। তিনি কুলপি পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য নেতৃত্ব দলীয় প্রার্থীদের ভোট-প্রচারের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করেছিলেন, তা নয়ছয় করেছেন প্রদ্যোৎ। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই হাই কোর্ট চত্বরে বচসা জড়িয়েছিলেন দু’জন।
এ ব্যাপারে প্রদ্যোৎ বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। তৃণমূলের কিছু দালাল আমাদের দলে ঢুকে রয়েছে। তারাই চক্রান্ত করে আমার উপর হামলা করেছে। আমি হাই কোর্টে গিয়েছিলাম আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের হয়ে একটি মামলার জন্য। সেই সময় আচমকা এই হামলা চালানো হয়। পুলিশের জন্য কোনও রকমে আমি রক্ষা পাই। বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’’
পাল্টা তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, ‘‘এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy