Advertisement
E-Paper

শত্রুতার জেরে খুন যুবককে

চিকিৎসকেরা জানান, সুমিতের মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৪৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পুরনো শত্রুতার জেরে এক যুবককে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল এলাকারই এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে, ঘোলার উসুমপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক হলেও পুলিশ তার বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুমিত বসু (৩৫)। তিনি ঘোলার বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা। হোমিওপ্যাথি ওষুধের কন্টেনার তৈরির কারখানায় তিনি কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী এবং সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রথমে সুমিতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার ভোরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, সুমিতের মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে উসুমপুর বটতলায় থাকতেন সুমিত ও তাঁর পরিবার। ২০০৮ সালে স্থানীয় বাসিন্দা বাবন বণিককে খুনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সুমিত ও তাঁর দাদা অমিত ছ’মাস জেলে বিচারাধীন অবস্থায় ছিলেন। অভিযোগ এর পর থেকেই বাবনের ভাই তথা এলাকায় ও পুলিশের কাছে দুষ্কৃতী বলে পরিচিত বিল্লু বণিক প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করে সুমিতকে। এ দিন সকালে ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়ে সুমিতের দিদি পূর্ণিমা রায় বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে ভাইদের জেল হয়েছিল। ছাড়া পাওয়ার পরে বিল্লু ও তাঁর বাবা শম্ভুবাবু সুমিতকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিত।’’

সুমিতের পরিবারের দাবি, হুমকিতে ভয় পেয়ে তাঁরা সেই বছরেই উসুমপুরের বাড়ি বিক্রি করে বিদ্যাসাগর পল্লিতে চলে আসেন। এর পর থেকে আর পুরনো পাড়ায় যেতেন না সুমিত। গত কাল রাত ৯টা নাগাদ তিনি পাড়ায় বসেছিলেন। তখন তাপস হালদার ওরফে পচা নামে সুমিতের এক বন্ধু গাড়ি রাখার জন্য যাচ্ছিলেন। সুমিত তাঁর গাড়িতে চেপে উসুমপুর বটতলা বাসস্ট্যান্ডে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানে গ্যারাজ করার সময় তাপসের গাড়ি একটি অটোয় ধাক্কা মারে। তা নিয়ে অটো চালকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাপসের। খবর পেয়ে বিল্লু সেখানে পৌঁছয় এবং গাড়ির ভিতরে সুমিতকে বসে থাকতে দেখে। অভিযোগ, তখনই তাঁকে টেনে নামিয়ে রাস্তায় পরে থাকা ইট তুলে এলোপাথাড়ি মাথায় মারতে থাকে বিল্লু। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পরেন সুমিত। এলাকার লোকজন জড়ো হতেই দলবল নিয়ে পালায় ওই দুষ্কৃতী।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘অটোর ঝামেলার কথা শুনে বটতলায় এসেই গাড়িতে সুমিতকে বসে থাকতে দেখে সুযোগ পেয়ে যায় বিল্লু। তবে ঘটনার পরে সে পালিয়েছে। তার বাবাও হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে তাই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

Crime murder Miscreant Sodpur Ghola ঘোলা সুমিত বসু
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy