বাবা জানতে পেরেছিলেন মেয়ের উপরে অত্যাচার করেন জামাই। তাই আলোচনা করে একটি সমাধান সূত্রে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে জামাই কথা বলতে নারাজ। অভিযোগ, শ্বশুরকেও বেধড়ক মারধর করেন কীর্তিমান। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ়ের। তবে গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না অভিযুক্তের। শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের তরণীপুর এলাকার ঘটনা।
অভিযোগ, মেয়ের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে বলে শ্বশুর আলোচনা করতে চাইলে গত ২০ নভেম্বর তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন জামাই দিপু হালদার। মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়। পরিবারের লোক ও গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শাড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে সেখান থেকে ভর্তি করানো হয় বনগাঁ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় নির্মল মিস্ত্রির।
আরও পড়ুন:
এর পরে মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে জামাইয়ের বিরুদ্ধে স্বরূপনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ততক্ষণে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাড়োয়া থেকে বাদুড়িয়ার বাসিন্দা দিপুকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে তার সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।