দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থেকে মিঠুন চক্রবর্তীর ঘোষণা, ‘‘বাড়ির জন্য তৃণমূলের কাউকে ধরতে হবে না।’’ নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। প্রতি দিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও আবাসের বাড়ি না পেয়ে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। এ বার এ নিয়ে ‘বিশেষ ঘোষণা’ বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। তাঁর কথায়, ‘‘যদি না মরে যাই, যাঁদের যাঁদের কাঁচা বাড়ি আছে, তাঁদের পাকা বাড়ি আমিই করে দেব। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতেই হবে। তার জন্য কাউকে বিজেপি হতে হবে না। কোনও নেতার ঘনিষ্ঠও হতে হবে না।’’
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর সোনাখালিতে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদার এবং বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও। ‘দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়া’ এবং আবাস যোজনার ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদে প্রায় এক কিলোমিটার পদযাত্রা করেন মিঠুন। সেখান থেকেই আবাস নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্যে চলা আবাস-বিতর্কের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছেন। রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে তাঁরা দাবি করেছেন, বঞ্চিত এবং প্রকৃত উপভোক্তাদের সরকারি প্রকল্পে মাথার উপর ছাদ দেবেন তাঁরাই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী যেমন একাধিক সভা থেকে এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তবে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে সময় চেয়েছিলেন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত। কিন্তু বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন সময় আরও এগিয়ে আনলেন। জানালেন, লোকসভা নয়, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির জয় হলে পাকা বাড়ির ব্যবস্থা তিনিই করে দেবেন।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়েও মন্তব্য করতে শোনা যায় মিঠুনকে। তিনি অভিযোগ করেন, সিএএ নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। মিঠুন বলেন, ‘‘ আসল ভোটার ও আধার কার্ড থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয় নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।’’ মিঠুনের কথার রেশ ধরে সুকান্তও বলেন, ‘‘ভারতের মানুষ ভারতেই থাকবেন। কেউ তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে না।’’
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচারে মিঠুনের ‘জাত গোখরো’ সংলাপ নিয়ে বিতর্কের রেশ গড়িয়েছিল নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। এ বার পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে নিজের সিনেমার সংলাপ আওড়ালেন মিঠুন। তিনি বলেন, ‘‘নাম তুফান, বছরে এক-আধ বার আসি। যখন আসি প্রলয় ঘটে। যখন যাই ভগবানও তার অস্তিত্ব খুঁজে বেড়ায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy