E-Paper

ক্যানিং শহরকে যানজটমুক্ত করতে কড়া পদক্ষেপের বার্তা

ক্যানিং ট্রাফিক গার্ডের অফিসের সামনে থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে ক্যানিং বাজার চত্বর মাইকে বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ০৯:২৪
প্রশাসনের সতর্কবার্তা। নিজস্ব চিত্র 

প্রশাসনের সতর্কবার্তা। নিজস্ব চিত্র 

ক্যানিং শহরকে যানজট মুক্ত করতে এর আগেও একাধিক বার পথে নেমেছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের নেতৃত্বে পথে নেমে সাধারণ ব্যবসায়ী, গাড়ি চালকদের সচেতন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। শনিবার ক্যানিং ১ বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস, ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ, আরপিএফ ওসি পঙ্কজ কুমারেরা ফের পথে নামেন। ‘শেষ বারের’ মতো সতর্ক করা হয় সকলকে। ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা, রাস্তায় গাড়ি রেখে যানজট তৈরি করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছে পুলিশ।

৩ জুলাই থেকে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ৩ জুলাইয়ের পরে কেউ ফুটপাথ দখল করলে বা রাস্তায় বেআইনি পার্কিং করলে পুলিশ এসে সেই সব ব্যবসার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করবে, বেআইনি ভাবে পার্কিং করা গাড়ি-বাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

এ দিন ক্যানিং ট্রাফিক গার্ডের অফিসের সামনে থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে ক্যানিং বাজার চত্বর মাইকে বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আগামী ১৫ জুলাই থেকে ক্যানিং মডার্ন বাস টার্মিনাস থেকে বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার বাস মিলবে বলেও জানান বিধায়ক। ফলে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড চত্বর কিছুটা যানজট মুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিধায়ক বলেন, ‘‘ক্যানিং মহকুমা শহর হওয়ায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে আসেন নানা কাজে। তা ছাড়া, সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হওয়ায় পর্যটকেরা সারা বছর যাতায়াত করেন। যানজটের কারণে সকলকেই অসুবিধায় পড়তে হয়। মানুষ সমাজমাধ্যমে আমাদের বিদ্রুপ করছে। তাই আজ শেষ বারের মতো সতর্ক করা হল সকলকে। এরপরে কথা না শুনলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’

প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা সুদীপা সরকার, নির্ভীক দাসেরা বলেন, ‘‘উদ্যোগকে স্বাগত। তবে সত্যি সত্যি কার্যকর হলে বেশি খুশি হব। অফিসটাইম শুধু নয়, দিনের প্রায় সব সময়েই ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড, রেলমাঠ চত্বরে এতটাই যানজট থাকে, মানুষ ট্রেন ধরতে বা বাজারে এলে সমস্যায় পড়েন।”

এ দিকে, ক্যানিং বাজারের ব্যবসায়ী সুভাষ দাস, নিত্যানন্দ মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘বাজারের মধ্যে অনেকেই ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করছেন। প্রশাসনের নির্দেশে নিশ্চয়ই সকলে ফুটপাথ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু মূল সমস্যা, ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড, রেলমাঠ— যেখানে পার্টির লোকেরাই নতুন নতুন দোকান বসিয়েছেন, ঠেলা গাড়ি দিয়ে ফুটপাথ দখল করছেন, বাসস্ট্যান্ড বাইকের গ্যারাজে পরিণত হয়েছে। এগুলি বন্ধ না হলে এই উদ্যোগ সফল হবে না।”

এ প্রসঙ্গে পরেশ বলেন, ‘‘প্রশাসনকে বলেছি, যে-ই অন্যায় ভাবে রাস্তা, ফুটপাথ দখল করবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। পার্টির লোক বা জন প্রতিনিধি বলে কেউ ছাড় পাবেন না। এমনকী, প্রশাসন কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সেখানেও কারও কোনও সুপারিশ মানতে পুলিশকে বারণ করা হয়েছে।"

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Canning Traffic Congestion

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy