Advertisement
E-Paper

প্রাথমিকের ক্লাসঘরে তালা, বিক্ষোভ শেওড়াফুলির স্কুলে

কিন্তু বুধবারেও পরিস্থিতি বদলায়নি। এ দিনও প্রাথমিকের পড়ুয়া এবং শিক্ষিকারা এসে দেখেন, দু’টি ঘরের তালা খোলেনি। ইতিমধ্যেই কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০২:৩৬
ক্ষোভ: স্কুলের সামনে পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। নিজস্ব চিত্র

ক্ষোভ: স্কুলের সামনে পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা। নিজস্ব চিত্র

প্রাথমিক স্কুলের ঘর তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠল দিবা বিভাগের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার জেরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও খুদে পড়ুয়ারা। গোলমালের জেরে শিকেয় উঠল পড়াশোনা। বুধবার সকালে হুগলির শেওড়াফুলি বিদ্যানিকেতনের ঘটনা।

বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ দশকের পুরনো ওই বিদ্যালয়ে সকালে প্রাথমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রীদের বিভাগ চলে। বেলায় উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রদের স্কুল বসে। প্রাথমিকের ক্লাস হয় ৮টি ঘরে। ওই বিভাগে প্রায় সাড়ে চারশো জন পড়ুয়া রয়েছেন। অভিযোগ, দিন চারেক আগে উচ্চমাধ্যমিক (ছাত্র) বিভাগের প্রধান শিক্ষক কৃপাসিন্ধু ধাড়া প্রাথমিকের দু’টি ঘরে তালা দিয়ে যান বলে অভিযোগ। তাই সোমবার এবং মঙ্গলবার ওই দু’টি ঘরে প্রাথমিকের ক্লাস করানো যায়নি। বাধ্য হয়ে বারান্দায় চট এবং শতরঞ্চি পেতে ক্লাস নেওয়া হয়।

বিষয়টি জানিয়ে স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা চক্রবর্তী। কিন্তু বুধবারেও পরিস্থিতি বদলায়নি। এ দিনও প্রাথমিকের পড়ুয়া এবং শিক্ষিকারা এসে দেখেন, দু’টি ঘরের তালা খোলেনি। ইতিমধ্যেই কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

বিদিশাদেবীর অভিযোগ, ‘‘প্রাথমিক বিভাগ যাতে না চলে, সে জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে ক্লাসরুম, শৌচাগারে তালা দেওয়া থেকে শুরু করে মিড-ডে-মিলের ঘরে জলের সংযোগ বন্ধ করা হয়। এখন ঘর বন্ধ করে দেওয়ায় বাচ্চাদের চট পেতে বসতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিলেও উনি ব্যবস্থা নেননি।’’

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ওই প্রাথমিক স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সুবীর ঘোষ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেন, স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে তিনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। সুবীরবাবুর অভিযোগ, ‘‘প্রধান শিক্ষকের জন্যই বাচ্চাগুলোকে ভুগতে হচ্ছে।’’

বিক্ষোভের জেরে বিদিশাদেবীকে ডেকে ঘর খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন কৃপাসিন্ধুবাবু। তিনি অবশ্য অসহযোগিতার অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, সরকারি প্রকল্পের জন‌্য ঘর দরকার। সে জন্য প্রাথমিক বিভাগের অসুবিধা কম হবে, এমন একটি ঘর নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নিতান্ত বাধ্য হয়ে একটি ঘর নিয়েছিলাম। কিন্তু যে সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা মিথ্যা।’’ তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেই ঘর খুলে দেওয়া হচ্ছে। এর পরে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঘর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

School Agitation Students of primary classes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy