Advertisement
E-Paper

বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ বসিরহাটের বিদ্যুৎ দফতরে

বকেয়া টাকার দাবিতে দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ঠিকাদারেরা। সোমবার সকাল থেকে বসিরহাটের স্টেশন-সংলগ্ন টাকি রোডের পাশে বসিরহাট ডিভিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৪
চলছে অবস্থান বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

চলছে অবস্থান বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

বকেয়া টাকার দাবিতে দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখালেন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ঠিকাদারেরা। সোমবার সকাল থেকে বসিরহাটের স্টেশন-সংলগ্ন টাকি রোডের পাশে বসিরহাট ডিভিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের বকেয়া প্রায় ১২ কোটি টাকা। অবিলম্বে সেই টাকা দিতে হবে। না হলে সমস্ত রকম বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। বিক্ষোভকারীরা দফতরে স্মারকলিপিও দেন।

বসিরহাট মহকুমায় এই দফতরে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এই ঘটনায় চিন্তায় পড়েছেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আধিকারিকেরা। বসিরহাট মহকুমার বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এক আধিকারিক প্রসূন ভৌমিক বলেন, ‘‘নতুন মিটার লাগানো, বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা, ট্রান্সফর্মার লাগানো ইত্যাদি কাজ) কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের প্রায় ৯ কোটি টাকা দেওয়া বাকি আছে। তাঁরা যাতে দ্রুত ওই বকেয়া টাকা পান, সে বিষয়ে দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।’’

প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের ৩টি পুরসভা এবং ১০টি ব্লকে বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য বিভিন্ন কাজে ৪২ জন ঠিকাদারের অধীনে প্রায় দশ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু এখন বিদ্যুতের মতো জরুরি পরিষেবায় শ্রমিকেরা কাজ না করায় চিন্তিত সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরা। বিশেষ করে ঝড় বৃষ্টির সময়ে শ্রমিকেরা কাজ না করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা আছে।

এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কাজ বন্ধ করে দফতরের সামনে ফেস্টুন লাগিয়ে মাইক্রোফোন হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের মধ্যে সজল মজুমদার, সুকান্ত মণ্ডলরা বলেন, ‘‘সম্প্রতি বড় কাজ বাইরের ঠিকাদারদের দিয়ে করানোয় আমাদের কাজ কমেছে। এই অবস্থায় বহু টাকা বকেয়া পড়ে থাকায় আমরা অসুবিধায় আছি। প্রতিবাদ না দেখিয়ে উপায় নেই।’’ এ বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিকাল কনট্রাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুকান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ঋণ করে বিদ্যুৎ দফতরের কাজ করি। আমাদের জন্য শ্রমিকেরা জীবনের ঝুঁকি নেন। গরিব পরিবারের মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। দফতর আমাদের টাকা দিতে দেরি করে। আমরা ঠিক মতো শ্রমিকদের টাকা দিতে পারি না। এ ভাবে সম্ভব হচ্ছে না।’’

Basirhat electric office station sukanta mandal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy