Advertisement
E-Paper

কোয়রান্টিন সেন্টারে ধর্ষণের অভিযোগ, ভাঙচুর পুলিশের গাড়ি

পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দু’টি গাড়ি। ইটের ঘায়ে জখম হন জনা বারো সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৪:৫৮
উত্তেজিত জনতাকে সামলাচ্ছে পুলিশ

উত্তেজিত জনতাকে সামলাচ্ছে পুলিশ

কোয়রান্টিন সেন্টারে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখতে পেয়েছিলেন আবাসিকেরা। দু’জনকে রাতভর আটকে রেখেছিলেন ওই ঘরেই। সকালে পুলিশ এলে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামের মানুষ। এই নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।

পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দু’টি গাড়ি। ইটের ঘায়ে জখম হন জনা বারো সিভিক ভলান্টিয়ার, পুলিশ। লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত জাহির আব্বাসকে। পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় এক মহিলা-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের দিগম্বরপুর পঞ্চায়েতে। সেখানকার কর্মতীর্থ ভবনে তৈরি হয়েছে কোয়রান্টিন সেন্টার। ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক আছেন সেখানে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে বছর পঞ্চায়েশের ওই মহিলা ফিরেছিলেন ভিন্ রাজ্য থেকে। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন করা হয়েছিল দিগম্বরপুর এলাকার বছর বত্রিশের জাহিরকে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আব্বাস ওই মহিলার ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইলে সেই ছবিও তোলেন কেউ কেউ। খবর রটে যায় এলাকায়। সকাল হতেই গ্রামের লোক জড়ো হতে থাকে। মহিলা ও যুবককে ভিতরে আটকে রেখে কোয়রান্টিন সেন্টারের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দানা বাঁধে উত্তেজনা। প্রায় ঘণ্টা তিনেক আটকে থাকার পরে পুলিশ আসে। পুলিশের সামনে বিক্ষোভকারীরা ওই যুবকের শাস্তির দাবি তুলে গোলমাল শুরু করে দেয়।

পুলিশ কোয়রান্টিন সেন্টারের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল উড়ে আসতে থাকে। দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে জনতা। পুলিশ লাঠি চালিয়ে সকলকে হটিয়ে দেয়। পরে গেটের তালা ভেঙে দু’জনকে উদ্ধার করে গদামথুরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে থেকে পরে পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। সেখানে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বিবাহিত। সে আগেও একাধিক মহিলার সঙ্গে নানা সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল। সে সব নিয়েও গোলমাল বাধে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল আব্বাসকে। কোয়রান্টিন সেন্টারের ওই মহিলার সঙ্গে যুবকের ফোনে নানা কুরুচিকর কথাবার্তার রেকর্ডিং পুলিশের হাতে এসেছে। মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের আজ, শনিবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Quarantine Centre Dholahat Rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy