E-Paper

স্পা সেন্টারের আড়ালে যৌন চক্র, ধৃত একাধিক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর ২৪ পরগনায় মাসির বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কিশোরী। পরিবারের তরফে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৫

—প্রতীকী চিত্র।

এক নাবালিকার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে একটি স্পা সেন্টারের আড়ালে যৌন চক্র চালানোর সন্ধান পেল পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, উদ্ধার করা হয়েছে নাবালিকাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর ২৪ পরগনায় মাসির বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী। পরিবারের তরফে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

তদন্তে জানা যায়, ওই কিশোরী এক সময়ে জেলার একটি হোমে ছিল। সেই সময়ে এক দম্পতির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মেয়েটিকে কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে নিজেদের কাছেনিয়ে আসে তারা। পরে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বাসিন্দা, বর্তমানে কলকাতার পূর্ব যাদবপুরের বাপি কর্মকারের হাতে তুলে দেওয়া হয় কিশোরীকে।

বাপির মাধ্যমে ওই নাবালিকা বারাসতের একটি বড় আবাসনের স্পা সেন্টারে কাজ পায়। সেখানে স্পায়ের আড়ালে যৌন ব্যবসা চলত বলে অভিযোগ। বছর সতেরোর মেয়েটিকেও জোর করে সেই কাজে নামানো হয়।

ওই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার দিনকয়েকের মধ্যে ওই একই থানায় আর এক তরুণীর নিখোঁজ হওয়া নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে।কাছাকাছি সময়ে পর পর দু’টি মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের।

কিছু দিন পরে অপহৃতা তরুণী কোনও ভাবে অভিযুক্তদের কবল থেকে পালিয়ে আসেন।থানায় ও আদালতে জবানবন্দি দেন। জানান, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে নিয়ে গিয়ে যৌন ব্যবসায় নামানো হয়েছিল।একই জায়গায় একটি কমবয়সি মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে জানান ওই তরুণী।

তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ নভেম্বর মাসে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা আশুতোষ দে ও তারস্ত্রী আনিসা দে-কে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে বারাসতআদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই দম্পতিকে জেরাকরে পুলিশ বাপি কর্মকারের হদিস পায়।

গত ৮ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ বাপিকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে।আদালতে সে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে জেলবন্দি আশুতোষ ও আনিসাকে আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, স্পা সেন্টারটির আড়ালে যৌন ব্যবসা চালানো হচ্ছিল।

এর পরেই গত রবিবার রাতে পুলিশ সংশ্লিষ্ট আবাসনের দু’টি স্পা পার্লারে হানা দেয়। গ্রেফতার করা হয় পার্লারের মালিক, দত্তপুকুরের বাসিন্দা ইসমাইল দর্জি এবং দমদমের গোরাবাজারের বাসিন্দা নিতু সিংহ নামে এক মহিলাকে

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Spa

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy