Advertisement
E-Paper

আড়াই হাজারেই মিলছে  ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র

মাত্র আড়াই হাজারেই মিলছে ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট। শুধু জন্ম শংসাপত্রই নয়, খাদ্য সুরক্ষার কার্ড, রেশন কার্ড-সহ যাবতীয় ভুয়ো নথি মিলছে টাকার বিনিময়ে।  

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০১:৪৪
তৈরি করা হয় এমন শংসাপত্র।

তৈরি করা হয় এমন শংসাপত্র।

মঙ্গলবার একটি ভুয়ো জন্মের নথি ধরা পড়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপারের হাতে। সানারা গাজি নামে এক মহিলা তাঁর জন্ম শংসাপত্রে বাবার নাম ভুল থাকায় তা ঠিক করার জন্য হাসপাতাল সুপারের দফতরে শংসাপত্রটি জমা দেন। শংসাপত্রটি হাতে পড়তেই সুপারের দফতরের কর্মীরা বুঝে যান সেটি নকল।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আগের সুপারের সই, অফিসের সিল সবই নকল করা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় কোথা থেকে শংসাপত্র পেয়েছেন সে বিষয়ে মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দফতরের কর্মীরা। অবস্থা বেগতিক বুঝে সেখান থেকে দৌড়ে পালান মহিলা। নকল শংসাপত্র-সহ এ বিষয়ে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার। তিনি বলেন, “সার্টিফিকেট হাতে পড়তেই বুঝেছি সেটি নকল। এই ধরনের নকল সার্টিফিকেট এর আগেও আমাদের দফতরে জমা পড়েছে। কিছু মানুষ টাকার বিনিময়ে এই নকল সার্টিফিকেট তৈরি করছেন বলে আমাদের অনুমান। এ বিষয়ে থানায় ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি।” পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

ক্যানিং মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র তৈরির রমরমা ব্যবসা চলছে। এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে নকল সার্টিফিকেট তৈরি করছে বলে আগেও স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর সে ভাবে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিনের পর দিন এই চক্র আরও বেশি করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। মাত্র আড়াই হাজারেই মিলছে ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট। শুধু জন্ম শংসাপত্রই নয়, খাদ্য সুরক্ষার কার্ড, রেশন কার্ড-সহ যাবতীয় ভুয়ো নথি মিলছে টাকার বিনিময়ে।

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের কয়েকজন কর্মীই জানালেন, আড়াই হাজার টাকা খরচ করলেই এই ধরনের ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র পাওয়া যায়। বাসন্তীর মসজিদবাটি এলাকায় এক ব্যক্তি এই জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরির কাজে জড়িত বলে অভিযোগ তাঁদের। দু’দিনের মধ্যেই শংসাপত্র হাতে পাওয়া যায় বলেও জানালেন তাঁরা। যদিও এই চক্রের গতিবিধি সম্পর্কে কিছুই জানা নেই বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। ক্যানিং মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিমল ডাকুয়া বলেন, “একটি ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট জমা পড়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল সুপারের কাছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Fake Birth certificate Canning
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy