তিন বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মৈপীঠ কোস্টাল থানা এলাকায়। বুধবার রাতে মধ্য গুড়গুড়িয়া গ্রামের কাছে বাঘের দেখা মেলে বলে দাবি গ্রামবাসীর। বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মারা যান পাশের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের বর্ণধর মণ্ডল (৩২)। এ দিন রাতে মৈপীঠের দেবীপুরে জঙ্গলঘেঁষা লোকালয়ে ফের বাঘের দেখা মেলে। তার আক্রমণে এক জন জখম হন বলে গ্রামবাসীর দাবি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বনকর্মীরা। এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বর্ণধর-সহ বৈকুন্ঠপুরের পাঁচ জন এ দিন সকালে কাঁকড়া ধরতে যান। বইটাবাঙির জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময়ে একটি বাঘ বর্ণধরের ঘাড়ে থাবা বসিয়ে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গীরা বাঁশ-বৈঠা নিয়ে তেড়ে যাওয়ায় পালায় সে। জখম বর্ণধরকে বাঁচানো যায়নি। স্ত্রী ও বছর ছয়েকের মেয়ে রয়েছে বর্ণধরের। মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী জানান, মৃত মৎস্যজীবী বৈধ অনুমতিপত্র নিয়ে জঙ্গলে গিয়েছিলেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই মৃত্যুসংবাদ আসার আগে থেকেই বাঘের আতঙ্ক ছিল এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যায় মধ্য গুড়গুড়িয়ায় বাঁধের রাস্তায় মোটরবাইকে যাওয়ার সময় হঠাৎ কিছুটা দূরে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে হেঁটে আসতে দেখেন সুব্রত মাইতি নামে স্থানীয় এক যুবক। পরে পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে বনকর্মীরা জানান, মাকড়ি নদী পেরিয়ে জঙ্গলে ফিরেছে সে বাঘ। তবু নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলার ওই বনকর্তা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)