E-Paper

বাবাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা ছেলের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জামতলা এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত পরিমল হালদার নামে বছর পঁচিশের ওই যুবক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৬
মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হচ্ছে দেহ। নিজস্ব চিত্র 

মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হচ্ছে দেহ। নিজস্ব চিত্র  SAMIRAN DAS

বাবাকে খুন করে পুঁতে দিয়েছিল ছেলে। দিন চারেক পরে আত্মগ্লানিতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের লোকজনের কাছে সে স্বীকার করে বাবাকে খুনের কথা। সেই মতো মাটি খুঁড়ে মেলে দেহ। কুলতলির জালাবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের জামতলা এলাকার ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, জামতলা এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত পরিমল হালদার নামে বছর পঁচিশের ওই যুবক। দাদা ভিন্ রাজ্যে কাজ করেন। মা অসুস্থ। বাবা কাশীনাথের (৫০) সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত পরিমলের। দিন কয়েক ধরে খোঁজ মিলছিল না কাশীনাথের। পাড়া-প্রতিবেশীরা পরিমলকে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু পরিমল জানিয়ে দেয়, বাবা কোথায় সে জানে না।

শনিবার হঠাৎই বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরিমল। এরপরে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীদের কাছে সে জানায়, দিন চারেক আগে বাবাকে ঘাড়ে কাটারির কোপ মেরে খুন করেছে। বাড়ির কাছে একটি জমিতে দেহ পুঁতে রেখেছে।

পরিমলের কথা শুনে বিষয়টি থানায় জানান এলাকার লোকজন। পুলিশ এসে পরিমলের বলে দেওয়া জমিতে খোঁড়াখুঁড়ি করে কাশীনাথের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, দেহটি পচে-গলে গিয়েছিল। তবে তার মধ্যেও ঘাড়ে গভীর ক্ষত বোঝা গিয়েছে। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে, কীটনাশক খেয়ে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ে পরিমল। তাকে কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাঠানো হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, কিছুটা সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kultoli Murder

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy