চিহ্ন: রক্তের দাগ মিনাখাঁয়। ছবি: নির্মল বসু
একটা গুলি কোমরে লাগার পরেও ছুটে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে প্রাণ বাঁচাতে চেয়েছিল যুবকটি। কিন্তু দুষ্কৃতী দলটি তাকে টেনে বের করে নিয়ে আসে রাস্তায়। সবার চোখের সামনে বুকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় তাকে। ‘অ্যাকশন’ সেরে গাড়িতে উঠে শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালায় ছ’জন দুষ্কৃতী।
বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ মিনাখাঁ থানার নেরুলির এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ জানায়, খুন হওয়া যুবকটির নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল ওরফে করিম (৩৪)। বসিরহাট স্টেশনের কাছে গোডাউনপাড়ায় থাকত শ্রীকান্ত। কাজ করত ইটভাটায়। পুলিশের দাবি, শ্রীকান্তর বিরুদ্ধে খুন, মারামারি, তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ আছে। গত কয়েক মাস ধরে সে মিনাখাঁ থানার নেরুলি গ্রামে একটি ইটভাটায় শ্রমিকদের টিকিট দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল।
কী হয়েছিল এ দিন?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিকেল চারটে নাগাদ একটি নীল রঙের ছোট গাড়িতে ছ’জন দুষ্কৃতী নেরুলি গ্রামের ইটভাটায় আসে। ওই সময়ে ভাটার ডাম্পারের উপরে বসে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিল শ্রীকান্ত। দু’জনকে গাড়িতে রেখে চার দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। শ্রীকান্তের সঙ্গী পাশের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে চম্পট দেয়। কোমরে গুলি খেয়ে শ্রীকান্ত এলাকার একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। কিন্তু তাকে তাড়া করে সেখানে হাজির হয় দুষ্কৃতীরা। তারা ওই বাড়ির লোকজনকে রিভলভার দেখিয়ে শ্রীকান্তকে বের করে দিতে বলে। হুমকির মুখে উপায় ছিল না বাড়ির লোকের। শ্রীকান্তকে বের করে পায়ে গুলি চালিয়ে দেয় এক জন। চিৎকার করতে থাকে রক্তাক্ত যুবক। তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে রাস্তায় এনে মাথায়-বুকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় শ্রীকান্ত।
পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই খুন করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আততায়ীদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy