বেলঘরিয়ার রথতলা কামারহাটির মোড়ে পুলিশের জমায়েত। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার রথতলা মোড়ে শুটআউট। ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে টানা আট রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ব্যবসায়ীকে খুনের উদ্দেশ্যেই গুলি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পেয়েছেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা অজয় মণ্ডল পেশায় মোটরগাড়ি ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুরে তিনি বেলঘরিয়ার কাছে নিজের কালো রঙের ভলভো গাড়িতে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। প্রকাশ্য রাস্তাতেই শুটআউট শুরু হয়। এর ফলে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রাণের ভয়ে পথচারীদের মধ্যেও হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তারা মোট তিন জন ছিল। তাদের মুখ ঢাকা ছিল। কী কারণে ব্যবসায়ীর উপর এই ধরনের হামলার ঘটনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের অনুমান, টাকা সংক্রান্ত গোলমাল এর নেপথ্যে থাকতে পারে। কারণ, ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁকে গত কয়েক দিন ধরে কয়েক জন বার বার ফোন করছিলেন। তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। সেই টাকা না দেওয়াতেই এই হামলা হয়ে থাকতে পারে।
গুলি চালানোর পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীর গাড়িতে অন্তত পাঁচটি বুলেটের চিহ্ন মিলেছে। এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘দু’জন বাইকে করে এসে সরাসরি অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। মোট কত রাউন্ড গুলি চলেছে, তা এই মুহূর্তে জানা নেই। তবে ওই ব্যবসায়ীর গাড়িতে পাঁচ রাউন্ড বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বেশ ক’দিন আগে থেকে দুষ্কৃতীরা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা চাইছিল বলে জানতে পেরেছি। না দেওয়াতে গুলি করে। তবে থানায় এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে গুলি চলেছে কলকাতাতেও। পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার মির্জা গালিব স্ট্রিটে বাইকের রেষারেষিকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার সূত্রে রাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়। এক যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে অন্য জনের বিরুদ্ধে। যুবকের পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তকে খুঁজছে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy