প্রতীকী ছবি।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে ‘মাটির কৃষ্টি’ নামে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গোবিন্দকাটি পঞ্চায়েত এলাকায়। এমন উদ্যোগ এই ব্লকে প্রথম বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েকশো মহিলা ও তাঁদের পরিবার আর্থিক ভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ৬০ বিঘা জমি জুড়ে গোবিন্দকাটি গ্রামে কৃষি, মৎস্য, কাঁকড়া ও পোলট্রি চাষের পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু হতে চলেছে। গোটা প্রকল্পের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই চার ধরনের চাষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকবে ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এক একটি গোষ্ঠীতে আছেন ১০ জন করে মহিলা। প্রকল্প অনুযায়ী, এলাকার একটি বড় খাল সংস্কার করে ও কিছুটা জমিতে পুকুর কেটে সেখানে কিছুটা অংশে মাছ ও কিছুটা অংশে কাঁকড়া চাষ করা হবে।
সেই সঙ্গে পুকুরের পাশে আনাজ চাষ করা হবে। ধান চাষও হবে। মাছ বা কাঁকড়ার পুকুরের উপরে পোলট্রি ফার্ম তৈরি করা হবে। পোলট্রির বর্জ্য মাছের ও কাঁকড়ার খাদ্য হবে। সেই সঙ্গে এখানে মাছের জৈব খাদ্য তৈরির কারখানাও গড়ে তোলা হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে। প্রশাসন পরিকল্পনা করেছে, এখান থেকে যে আনাজ উৎপাদন হবে, তা গোটা ব্লকের বিভিন্ন স্কুলের মিড ডে মিলে ব্যবহার করা হবে।
মাছ, কাঁকড়া, পোলট্রি ও মাছের জৈব খাবার বাইরে বাজারে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলোর সন্ধানে মহিলা সমবায় সমিতির সম্পাদক সুনীতা মণ্ডল বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি ৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী যুক্ত থাকলেও পরোক্ষ ভাবে আমাদের প্রায় ৩০০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী যুক্ত। তাই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে আমার সকলেই উপকৃত হব বলে মনে করছি।”
এ বিষয় হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা বলেন, ‘‘আমাদের ব্লকে এমন প্রকল্প এই প্রথম। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামে এই প্রকল্প চালু হলে অনেক পরিবার আর্থিক ভাবে লাভবান হবে বলে মনে করছি।” প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হতে প্রায় ছ’মাস লাগবে বলে জানান অর্চনা। তবে কয়েক মাসের মধ্যে কিছু চাষ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy