—প্রতীকী চিত্র।
খড়দহে এক ব্যবসায়ী পরিবারের চার জনের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানকে শ্বাসরোধ করার পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিরা কেটে দেওয়া হয়েছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে ময়না-তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে, পরিবারের তিন জনকে খুন করার পরে গলায় ধুতির ফাঁস দিয়ে ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে করছে পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। ঘটনার পিছনে আসল কারণ জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করাতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সিল করে দেওয়া হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটটি।
রবিবার সকালে খড়দহ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতাল সংলগ্ন মধুসূদন মুখার্জি রোডের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে পরিবারের চার জনের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন বৃন্দাবন কর্মকার (৫২), তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী কর্মকার (৪২), মেয়ে দেবলীনা কর্মকার (১৭) এবং ছেলে উৎসাহ কর্মকার (৮)। ফ্ল্যাটের দু’টি ঘর থেকে মেলে চার জনের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, দেবশ্রী ও উৎসাহের হাতের শিরা কাটা ছিল। মেয়ে দেবলীনার গলির নলি কাটা হয়েছিল। ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই সুইসাইড নোটে পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী বৃন্দাবন জানিয়েছেন, স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে না পারায় তাঁকে ও সন্তানদের খুন করে তিনি আত্মহত্যা করছেন। তবে সোমবার এলাকায় কথা বলে বৃন্দাবনের বিপুল দেনার কথাও জানা গিয়েছে। করোনার সময়ে কাপড়ের ব্যবসায় ভরাডুবির পরে ঋণ নিলেও বৃন্দাবন শোধ করতে পারেননি বলেই জানান প্রতিবেশীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy