Advertisement
E-Paper

স্বামী নিখোঁজের পর দেওরের সঙ্গে একত্রবাস, তাঁর হাতেই খুন বধূ! মায়ের দেহ উদ্ধার করল দুই পুত্র

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বছর দশেক আগে স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে দেওরের সঙ্গে থাকতেন মিঠু। সামাজিক ভাবে ওঁদের বিয়ে হয়নি। তবে স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০৪
Body recoverd

—প্রতীকী চিত্র।

বছর দশেক আগে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান স্বামী। দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন মিঠু দত্ত। পরে দেওর প্রদীপ দত্তের সঙ্গে একত্রবাস করতেন। মঙ্গলবার সকালে ওই বধূর রক্তাক্ত দেহ পাওয়া গেল বাড়িতে। দুই পুত্র মায়ের দেহ দেখে আর্তনাদ করে। অন্য দিকে, একত্রবাসের সঙ্গী তথা দেওর পলাতক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙা থানা এলাকায়।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বছর দশেক আগে স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে দেওরের সঙ্গে থাকতেন মিঠু। সামাজিক ভাবে ওঁদের বিয়ে হয়নি। তবে স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতেন। প্রতিবেশীদের আরও দাবি, পরকীয়া সম্পর্ক থাকলেও বেশ কিছু দিন ধরে দু’জনের অশান্তি চলছিল দেওর-বোদির। মাঝেমধ্যেই বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে শুনেছেন দু’জনকে।

মঙ্গলবার সকালে মাকে কোথাও না পেয়ে এ ঘর ও ঘর করছিল দুই ছেলে। জানা যাচ্ছে, খাটের তলায় একটি কম্বল পেঁচানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে টানাটানি করে তারা। সেখানেই মাকে দেখতে পায় দু’জনে। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। খবর দেওয়া হয় গোবরডাঙা থানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখানে মঙ্গলবারই দেহের ময়নাতদন্ত হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বধূকে খুন করা হয়েছে গলায় ফাঁস দিয়ে। তার পর দেহ কম্বলে মুড়ে খাটের তলায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দেওর প্রদীপের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজ চলছে।

Murder Case Gobordanga Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy