আবার অবৈধ অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এ বার জয়নগরের মজিলপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসানপুর এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অভিষেক রঞ্জনের নেতৃত্বে সোমবার রাতে প্রায় ১৫ জনের একটি দল হানা দেয় হাসানপুর এলাকায়। সেখানে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে ঢুকে দেখা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম জড়ো করা রয়েছে। তখনও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি চলছিল। পুলিশকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্তেরা। ওই বাড়ি থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি ওয়েলডিং মেশিন, প্রায় ২ কেজি গান পাউডার, একনলা বন্দুক তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বসবাসের নাম করে প্রায় তিন মাস আগে ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গোপনে সেখানে অস্ত্র তৈরির কারবার চলছে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজন ফিরোজ গাজী, যিনি পুরনো একটি খুনের মামলার আসামি বলে জানা গিয়েছে। অপর এ ক অভিযুক্তের নাম ভবেন পাল। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপে ব্যবহার করার জন্য ওই অস্ত্র তৈরি হচ্ছিল। এর নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ধৃতদের মঙ্গলবারই বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে, যাতে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো চক্রকে উন্মোচিত করা যায়। এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন বলেন, “যে সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট যে, এখানে দীর্ঘ দিন ধরেই অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল। কারা এর সঙ্গে জড়িত এবং কোন লক্ষ্যে অস্ত্র তৈরি হচ্ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
অন্য দিকে, জনবসতি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বসবাসের জন্য নেওয়া একটি ভাড়াবাড়ি কী ভাবে রাতারাতি অবৈধ অস্ত্র কারখানায় পরিণত হল? একই সঙ্গে পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।