এলাকায় পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করার অভিযোগে বুধবার রাতে সনাতনী ঐক্য মঞ্চের দুই সদস্যকে গোপালনগরের আকাইপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ঘটনায় ফের একবার পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলে ওই মঞ্চ এবং বিজেপি। বৃহস্পতিবার ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেছে বনগাঁ আদালত।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে। আদালতের মুখ্য ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী অসীম দে বলেন, ‘‘বিচারক ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।’’ বনগাঁর পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘কোথা থেকে ওই দু'জন পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা সনাতনী ঐক্য মঞ্চের সদস্য ও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত। বুধবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে, আকাইপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি দেওয়ালে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছে। যদিও ধৃতদের দাবি, তারা পহেলগামে জঙ্গি হানার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের গ্রেফতার করেছে।
কাশ্মীরে জঙ্গি হানা নিয়ে এ রাজ্যে সমাজমাধ্যমে কিছু পোস্টের বিরুদ্ধে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। নিদান দিয়েছিলেন হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ারও। বাধা পেলে পুলিশকে ‘কুপিয়ে কুপিয়ে কাটা’র নিদানও দেন তিনি। আকাইপুরের ঘটনাতেও পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা সনাতনী ঐক্য মঞ্চের কর্মকর্তা অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ‘‘সনাতনীরা যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীর চক্রান্তে পুলিশ তাঁদের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করছে।’’
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘বিজেপি সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত করেছে। পুলিশ তাদের কাজ করেছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)