E-Paper

আবর্জনা সাফ করতে বাড়তি পুর-কর বনগাঁয়, সমালোচনা বিরোধীদের

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বাড়িতে আবর্জনা ফেলার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে ড্রাম দেওয়া হয়েছে। তাতেই আবর্জনা রাখতে হবে। পুরকর্মীরা নিয়মিত গিয়ে সেই আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০০
বনগাঁ পুরসভা।

বনগাঁ পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

দূষণমুক্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলতে পদক্ষেপ করল বনগাঁ পুরসভা। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন ২০১৬, কেন্দ্র-রাজ্য সরকার এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে পুরসভা বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। বাড়ির আবর্জনা রাস্তার পাশে, নিকাশি নালায় বা যত্রতত্র ফেলা চলবে না বলে পুরবাসীকে নির্দেশ দিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তবে এ জন্য মাসে ৩০ টাকা কর ধার্য করা হচ্ছে নাগরিকদের থেকে। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।

পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বাড়িতে আবর্জনা ফেলার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে ড্রাম দেওয়া হয়েছে। তাতেই আবর্জনা রাখতে হবে। পুরকর্মীরা নিয়মিত গিয়ে সেই আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসবেন। পুরপ্রধান গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য প্রত্যেক পরিবার পিছু দৈনিক ১ টাকা হিসেবে মাসে ৩০ টাকা করে পরিষেবা-কর এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে নির্বাচিত মূল্য চালু করা হয়েছে।’’ পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি শহরের বাসিন্দাদের জানাতে লিফলেট বিলি হচ্ছে কয়েক দিন ধরে। ১ নভেম্বর থেকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে যুক্ত ‘নির্মল সাথী’রা পুরসভার রসিদ দিয়ে কর আদায় করবেন বলে জানানো হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে শহরবাসীকে জানানো হয়েছে, যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। পুরসভার গাড়িতেই আবর্জনা ফেলতে হবে। এই নিয়ম মেনে না চললে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প আইন, ২০১৬ এবং ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে পুর কর্তৃপক্ষ জরিমানা করতে বাধ্য থাকবেন।

মাসে তিরিশ টাকা করে কর নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। সিপিএমের বনগাঁ শহর এরিয়া কমিটির সদস্য পীযূষকান্তি সাহা বলেন, ‘‘আমরা পুরসভাকে কর দিই। তারপরেও কেন অতিরিক্ত কর চাপানো হচ্ছে? আমরা যে কর দিচ্ছি, তাতেও তো পুরসভা মাসে তিরিশ দিন ময়লা আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করছে না।’’ বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘মানুষ তো এমনিতেই পুর পরিষেবার জন্য কর দেন। তা হলে আবার নতুন করে কেন আবর্জনা সাফ করার জন্য অতিরিক্ত কর দিতে হবে। এতে মানুষের দুর্দশা বাড়বে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangaon Pollution free Garbage Disposal System

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy