Advertisement
০৪ মে ২০২৪

দু’টি জরায়ু নিয়ে মা হলেন তরুণী

 দু’টি জরায়ু নিয়ে সুস্থ শিশুপুত্রের জন্ম দিলেন মা। যা বিরল ঘটনা বলেই মনে করছেন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

হাসিমুখে: ছেলে কোলে সাথী। নিজস্ব চিত্র

হাসিমুখে: ছেলে কোলে সাথী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বনগাঁ শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:০১
Share: Save:

দু’টি জরায়ু নিয়ে সুস্থ শিশুপুত্রের জন্ম দিলেন মা। যা বিরল ঘটনা বলেই মনে করছেন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

তাঁদের দাবি, সাধারণত মহিলাদের একটি জরায়ু থাকে। কারও যদি দু’টি জরায়ু থাকে, তা হলে সেই মহিলার পক্ষে সন্তানের জন্ম দেওয়া খুবই কঠিন। অনেক সময়ে জরায়ুতে ভ্রূণ তৈরি হলেও তা নষ্ট হয়ে যায়। সন্তান প্রসব ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাত বলেন, ‘‘কী ভাবে ওই তরুণী সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দিলেন, তা চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যাখার অতীত। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে এমন ঘটনা এই প্রথম। তরুণীর এই প্রথম সন্তান।’’

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার শিমূলপুর এলাকার সাথী বারুই নামে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গত রবিবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখে ওই দিনই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর যে দু’টি জরায়ু রয়েছে, তা আগে জানতেন না চিকিৎসকেরা।

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সমিত পাইন অস্ত্রোপচার করেন। যা খুবই ঝুঁকির ছিল বলে তিনি জানান। সমিত বলেন, ‘‘অপারেশন টেবিলেই দেখা যায় তরুণীর দু’টি জরায়ু। বাঁ দিকের জরায়ুতে সন্তান রয়েছে। ডান দিকের জরায়ুটি ফাঁকা। একটি জরায়ুর সঙ্গে অন্যটির কোনও যোগ নেই।’’

হাসপাতাল সুপার জানান, ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে প্রথম দিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করাননি। পরে আলট্রাসনোগ্রাফি করানো হলেও পরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়েনি।

শনিবার সুস্থ সন্তানকে নিয়ে সাথী বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাহায্য ছাড়া সন্তানের জন্ম দিতে পারতাম না। সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mother Bangaon Double Uterus Uterus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE