E-Paper

দু’দশকেও চালু হল না বসিরহাটের বাস টার্মিনাস

এরপর কেটে গিয়েছে দু’দশক। রাজ্যে পালা বদলের পরে কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। বর্তমানে যে বাস টার্মিনাসটি বদরতলায় রয়েছে সেখানে ঠাঁই হয়েছে দু’টি রুটের বাসের।

নির্মল বসু 

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০০
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শিলান্যাসের পরে একুশ বছর পার হয়ে গেলেও বাম আমলে শুরু হওয়া বাস টার্মিনাস আজও চালু হল না।

বসিরহাট পুরসভা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাস দাঁড়ানোর জায়গা রাস্তার ধারে। তার ফলে তীব্র যানজট হয় শহরের মূল অংশে। ২০০৪ সালে তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী সীমান্ত শহরকে যানজট মুক্ত করতে পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের শিলান্যাস করেছিলেন।

এরপর কেটে গিয়েছে দু’দশক। রাজ্যে পালা বদলের পরে কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। বর্তমানে যে বাস টার্মিনাসটি বদরতলায় রয়েছে সেখানে ঠাঁই হয়েছে দু’টি রুটের বাসের। একটি বসিরহাট-বনগাঁ ডি এন ১২‌। অন্যটি, বদরতলা থেকে লেবুখালি রুটের।

ইছামতী সেতুর পাশে আরও একটি বাস স্ট্যান্ড রয়েছে। তাতে ২৫৩ নম্বর রুটের বাস বসিরহাট-ধর্মতলার মধ্যে চলাচল করে। বসিরহাটের অধর মার্কেট সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে ধামাখালিগামী ৭২-এ এবং ন্যাজাটগামী ৭২ নম্বর রুটের বাস যাতায়াত করে। গত ২১ বছর আগে যানজট মুক্ত করতে বসিরহাট পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান নারায়ণ মুখোপাধ্যায়, উপ পুরপ্রধান চন্দ্রিমা চক্রবর্তী, কাউন্সিলর কৃষ্ণা মজুমদারদের উদ্যোগে বাস টার্মিনাস চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বসিরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে মহকুমা আদালত, সংশোধনাগার, মহকুমাশাসকের দফতর, রেজিস্ট্রি অফিস, পুরসভা-সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। রয়েছে একাধিক স্কুল, কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশাপাশি এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় বসিরহাট জেলা এবং বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ইছামতী সেতু দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক পণ্যবাহী লরি ঘোজাডাঙা সীমান্তে যায়। এ সব মাথায় রেখে মাতৃসদন সংলগ্ন এলাকায় বাস টার্মিনাসটি করার উদ্যোগ নিয়েছিল তৎকালীন প্রশাসন।

বর্তমানে বসিরহাট পুলিশ জেলার উদ্যোগে শহরকে যানজট মুক্ত করতে ওয়ানওয়ে ট্র্যাফিক চালু করা হয়েছে। একদিকে রাস্তা এবং সেতুর পাশে লরি-বাস-সহ বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। তাতে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়েছে। গাড়ি ও বাসের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকটাই। তাই বাসিন্দারা চাইছেন বাস টার্মিনাসটি যাতে চালু করা যায় সেদিকে নজর দিক প্রশাসন।

প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান চন্দ্রিমা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেক আশা করে বাস টার্মিনাসের শিলান্যাস করা হয়েছিল। কিছুটা কাজ হলেও তারপরে সেই যে থমকে গেল! প্রাচীন শহর বসিরহাটের যানজট মুক্ত রাখতে বাস টার্মিনালটি তৈরি করা জরুরি।’’ বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বাম আমলে শিলান্যাস হয়েছিল শুনেছিলাম। কিন্তু তার কোনও অস্তিত্ব আমার জানা নেই।’’ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুকল্যাণ বৈদ্য বলেন, "তৃণমূল সরকার কাটমানির সরকার। তারা সাধারণ মানুষের কথা একদমই ভাবে না। তাই আর শিলান্যাস হলেও কাজ হয়নি। বসিরহাট শহরে দিন দিন যে ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে একটা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস জরুরি।’’

বর্তমান পুরপ্রধান অদিতি মিত্র বলেন, "আমরা চাই বসিরহাট শহর যানজট মুক্ত হোক। এ জন্য একটি বাস টার্মিনাস করা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’’ বসিরহাট জেলা তৃণমূলের সভাপতি বুরহানুল মোকাদ্দিম লিটন বলেন, ‘‘বাম আমলে কেন্ত্রীয় বাস স্ট্যান্ডের শিলান্যাস করা হয়েছিল বলে শুনেছি। তারপর কী হল তা বলতে পারব না। তবে শহরের যানজট কাটাতে বাস স্ট্যান্ড করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Basirhat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy