গোলমাল চলছিল গত কয়েক দিন ধরেই। তার মধ্যেই রবিবার রাতে বোমা-গুলির শব্দে কাঁপল এলাকা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বেলঘরিয়ায়। অভিযোগ, প্রিয়নাথ ঘোষ স্ট্রিটে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার সিন্ডিকেট-রাজ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। এই ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা সোমবার থানা ও কামারহাটি পুরসভায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, গোলমালে যুক্ত দু’পক্ষই নিজেদের তৃণমূল বলে দাবি করেছে। কামারহাটির পুরপ্রধান, তৃণমূলের গোপাল সাহা অবশ্য বলছেন, ‘‘কারা বোমাবাজি করেছে জানি না। তবে পুলিশকে বলেছি, যারাই করে থাকুক, অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি ( জোন ২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘মাঝরাতে একটি বাড়িতে বোমা-গুলি চলেছে। দু’টি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রিয়নাথ ঘোষ স্ট্রিটের প্রোমোটার বাসুদেব ঘোষের অভিযোগ, শুক্রবার তাঁর একটি বহুতলে ছাদ ঢালাই হচ্ছিল। দুপুরে ২ নম্বর রেলগেট এলাকারই বাসিন্দা রোহিত সিংহ দলবল নিয়ে সেখানে চড়াও হন। তাঁরা কাজ বন্ধ করার ফতোয়া জারি করেন। জানান, তাঁদের কাছ থেকে নির্মাণ-সামগ্রী না কেনা হলে কাজ করা যাবে না। তাঁরা মোটা টাকা তোলাও দাবি করেন বলে অভিযোগ। এর পরেই তিনি ঘটনাটি জানান এলাকার বাসিন্দা, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বেলঘরিয়ার সভাপতি রানা বিশ্বাসকে।
রানা জানিয়েছেন, বাসুদেববাবু তাঁকে ঘটনাটি জানানোর পরে তিনি কলেজের কয়েক জন ছেলেকে সেখানে পাঠান। তাঁদের মধ্যে দেবায়ন দে নামে এক ছাত্রনেতা ছিলেন। তাঁরা ফের কাজ শুরু করান। তাঁরা আসতেই রোহিত দলবল নিয়ে পালিয়ে যান। রানার অভিযোগ, সেই রাতে রোহিতেরা দলবল নিয়ে দেবায়নের বাড়িতে চড়াও হন। সেখানে বোমাবাজি ও গুলি ছোড়া হয়। বোমার শব্দ এবং দেবায়নদের চিৎকারে এলাকারা বাসিন্দারা ছুটে আসেন। এর পরেই তিনটি বাইক ফেলে ছুটে পালান তাঁরা। সেই বাইক এবং গুলির খোল পুলিশ সংগ্রহ করেছে। এর পরে শনিবার রাতে ফের গুলি চলে।রোহিত জানান, তোলাবাজির ঘটনায় তিনি জড়িত নন। বাসুদেববাবুকে তিনি বলেছিলেন, নির্মাণ-সামগ্রী তাঁদের কাছ থেকে নিতে। তবে কিছু বেকার যুবক কাজ পাবেন। তা-ই বা বললেন কেন? রোহিতের বক্তব্য, ‘‘এলাকার পুরো সিন্ডিকেট রানাদা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা চাই, সকলেই কিছু কাজ পান।’’
রোহিতের অভিযোগ, রানা দলবল নিয়ে শনিবার তাঁদের বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার রাতে রানাদা নিজে আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন। ওরা আমার পাড়ার ছেলেদের মারধর করেছেন। আমরা থানায় জানিয়েছি।’’ অভিযোগ, রবিবার রাতে ফের রোহিতের বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। একটি বোমা তাঁদের বাড়ির দেওয়ালে মারা হয়। শাটার গেটে গুলি ছোড়া হয়। রোহিত বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূল করি। দলের নেতৃত্বকে পুরো ঘটনা জানানো হয়েছে।’’
রানা অবশ্য রোহিতের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘দেবায়নের বাড়িতে হামলায় ব্যবহৃত তিনটি বাইক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তাতে ওঁরা ধরা পড়ে যেতে পারেন। সেই জন্য নিজের বাড়িতে নিজেরাই বোমা মেরেছেন ওঁরা। দলের নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy