শরীর কি সম্পূর্ণ সুস্থ? এই প্রশ্নটা মনে উঁকি দেয়ই। শারীরিক ও মানসিক ভাবে আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ ও তরতাজা আছেন কি না, তা বোঝার কিছু উপায় আছে। অনেক সময়েই মনে হয়, বেশি ক্লান্তি লাগছে মানেই শরীর খারাপ। তা নয়। ভিতরে ভিতরে যদি রোগ বাসা বেঁধে থাকে, তার কিছু উপসর্গও ফুটে ওঠে নানা সময়ে। তাই কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন, অসুখবিসুখ আপনার ধারেকাছে নেই?
ঘুম থেকে ওঠার পরে তরতাজা ভাব
টানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে ওঠার পরে শরীর ঝরঝরে মনে হবে। ক্লান্তির ছিটেফোঁটাও থাকবে না। কাজে উৎসাহ পাবেন, মনও চাঙ্গা থাকবে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে থাকবেন শত হস্ত দূরে। এমন হলে জানবেন, আপনি সুস্থ আছেন। তবে যদি ঘুমিয়ে ওঠার পরেও ক্লান্ত লাগে, ঝিমুনি আসে তা হলে রক্তচাপের হেরফের, থাইরয়েড বা ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকতে পারে।
অম্বলের নামগন্ধ নেই
ভারী কিছু খেয়েও পেট ভার হবে না। অম্বল-চোঁয়া ঢেকুরের ঝামেলা পোহাতে হবে না। যা-ই খাবেন সঠিক সময়ে হজম হয়ে যাবে। পেটও পরিষ্কার হবে নিয়মিত। তা হলে বুঝতে হবে আপনার লিভার ও পাকস্থলী ঠিকমতোই কাজ করছে।
আরও পড়ুন:
উজ্জ্বল ত্বক, নখের রং
নখের রং দেখেও রোগ ধরা যায়। সুস্থ থাকলে ত্বকেও ঔজ্জ্বল্য থাকবে। নখের রঙে গোলাপি আভা থাকবে, নখ ভেঙে যাবে না। নখের রং ফ্যাকাশেও হবে না। বুঝতে হবে, আপনার রক্তাল্পতার সমস্যা নেই, হার্ট ও কিডনিও ভাল আছে। নঙের হলদেটে ছোপ বা নীল হয়ে যাওয়া হার্ট ও ফুসফুসের রোগের লক্ষণ। নখ কালচে হয়ে যাওয়া মানেই লিভারের জটিল অসুখ বা কিডনির রোগের লক্ষণ। নখের চারপাশ ফুলে উঠলে বুঝতে হবে থাইরয়েডের সমস্যা হচ্ছে।
পরিশ্রম করার ক্ষমতা
বাজারের ভারী ব্যাগ বয়ে আনতে পারবেন স্বচ্ছন্দে। ভারী কিছু তোলা বা পরিশ্রম করতে কোনও কষ্টই হবে না। আলসেমি করতে ইচ্ছেই করবে না। যে কোনও কাজেই উৎসাহ পাবেন। অল্পে ক্লান্তি আসবে না।
সিঁড়ি ভাঙতে গিয়ে হাঁপাবেন না
যতই হাঁটুন বা সিঁড়ি ভাঙুন, সহজে হাঁপিয়ে যাবেন না। হৃৎস্পন্দনের হার অস্বাভাবিক হবে না। দ্রুত ঠান্ডা লেগে হাঁচি বা হাঁপানির মতো সমস্যাও হবে না। শ্বাসকষ্ট, বিশ্রাম নেওয়ার সময়ে শ্বাস নিতে সমস্যা যদি না থাকে, তা হলে বুঝতে হবে আপনার ফুসফুস এবং হার্ট বেশ শক্তিশালী ও কার্যকর।
প্রস্রাবের রং
প্রস্রাবের রং হবে স্বচ্ছ বা হালকা হলুদ। প্রস্রাবের সময়ে কষ্ট হবে না, জ্বালার মতো অনুভূতিও থাকবে না। রাতে বারে বারে প্রস্রাবের বেগ আসবে না। তবে বুঝবেন আপনার কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে। প্রস্রাবের রং যদি ঘোলাটে বা গাঢ় হলুদ হয়ে যায়, জ্বালাযন্ত্রণা হয়, তা হলে বুঝবেন সংক্রমণ হচ্ছে মূত্রনালিতে। গোলাপি রঙের প্রস্রাব টিউমার বা প্রস্টেটের সমস্যারও ইঙ্গিত দিতে পারে।
মানসিক স্থিরতা
যদি আপনি অকারণ রাগ, দুশ্চিন্তা বা হতাশায় না ভোগেন, তা হলে বুঝতে হবে মনও ভাল আছে। মানসিক চাপ যতই আসুক, সামলে নিতে পারবেন না।
স্বাভাবিক খিদে ও ঘুম
সঠিক সময়ে খিদে পাবে, ঘুমও হবে টানা। সুস্থতার সবচেয়ে বড় লক্ষণ খিদে ও ঘুমে সমস্যা না হওয়া। অতিরিক্ত খিদে ও খিদে না পাওয়া, কম ঘুম বা ঘুম একেবারেই না আসা, অসুস্থতার লক্ষণ।