বয়স যেন আর বাড়ছে না! শরীরের বয়স সেই যৌবনকালেই থেমে গিয়েছে। ষাটে পৌঁছে সারা শরীরে বলিরেখার চিহ্ন নিয়ে ভারতীয় পুরুষেরা যখন অবসরের কথা ভাবেন, তখন নতুন উদ্যমে সিনেমার পর্দা কাঁপিয়ে চলেছেন বলিউডের ‘ভাইজান’। চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়েনি। সুঠাম শরীরে পেশির খাঁজে এখনও যেন যৌবন থমকে রয়েছে। কোন গোপন মন্ত্রে এতখানি ফিট সলমন খান? জন্মদিনে সেই রহস্য ভেদ করেছেন তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক।
সপ্তাহে সাত দিনের মধ্যে ছ’দিনই জিম করেন। রুটিন শরীরচর্চার একচুলও এ দিক-ও দিক হয় না সলমনের। পেশিবহুল চেহারা ধরে রাখতে, পেশির ব্যায়াম ও ভারী কার্ডিয়ো তাঁর ফিটনেস রুটিনে থাকে। এ ছাড়া তিনি রোপ ট্রেনিং করেন বলেও শোনা যায়। শুধু শারীরিক পরিশ্রম নয়, ডায়েটও করেন কড়া নিয়ম মেনে। সলমন খানের সকালের খাবারে থাকে ডিমের সাদা অংশ এবং প্রোটিন শেক, কম ফ্যাট যুক্ত দুধ। ভাত, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কমই খান। দুপুরের পাতে থাকে স্যালাড। সেই সঙ্গে গ্রিল করা নানা শাকসব্জি, ডাল। রাতে একেবারে হালকা খাবার খান সলমন। স্যালাড আর গ্রিলড চিকেন থাকে সলমনের নৈশভোজে। তবে সলমন জানিয়েছিলেন, রাতে বাড়ি ফিরে তিনি এক বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি করেন, যার নামও নিজেই দিয়েছেন ‘মিকচার’। এটি আসলে সলমনের পছন্দের ‘ফিউশন’ খাবার যা তৈরি হয় বেঁচে যাওয়া নানা খাবার দিয়ে। ভাত, বেঁচে যাওয়া সব্জি, চিকেন, মটন সব মিশিয়ে তাতে নানা রকম মশলা দিয়ে রেঁধে নেন নিজেই। মুখরোচক কিছু খেতে ইচ্ছে হলে, বাড়ির খাবার দিয়েই তৈরি করে ফেলেন ফিউশন ফুড।
শরীরচর্চায় পুরনো দিনের পদ্ধতিই পছন্দ
জিমে গিয়ে খুব বাহারি কোনও ট্রেনিং নয়, বরং আগেকার দিনের বেঞ্চ প্রেস, চেস্ট প্রেস, ডেডলিফট, বাইসেপ কার্ল এগুলোই পছন্দ সলমনের। তাঁর ব্যায়াম শুরু হয় কার্ডিয়ো দিয়ে, তার পর একে একে স্ট্রেংথ ট্রেনিং, অ্যাব এক্সারসাইজ়, বডি ওয়েট এক্সারসাইজ়, লেগ রেজ় করেন।
আরও পড়ুন:
কার্ডিয়ো সেশন
সাইক্লিং করতে পছন্দ করেন সলমন। জিমে গিয়ে সাইক্লিং করার পাশাপাশি সাইকেল চালানোও পছন্দ। মাঝে মাঝে তিনি বান্দ্রা থেকে পানভেল (প্রায় ৫০ কিমি) সাইকেল চালিয়ে যান।
জিমে ঢুকেই তিনি অন্তত ২০-৩০ মিনিট ট্রেডমিলে দৌড়ন। ব্যায়ামের মাঝে খুব বেশি ক্ষণ বিরতি নেওয়া পছন্দ নয় ভাইজানের।
রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং
সলমনের চওড়া কাঁধ আর বাইসেপের রহস্য হল ওজন তোলা। ভারী ওজন তুলে ব্যায়াম করেন।
বুকের পেশির জন্য বেঞ্চ প্রেস, পিঠ ও শরীরের নীচের অংশের শক্তি বৃদ্ধিতে ডেডলিফ্ট করেন রোজ।
হাতের পেশি সুগঠিত করতে করে বাইসেপ ও ট্রাইসেপ কার্ল। সেই সঙ্গে ডাম্বেল কার্ল ও পুশ-ডাউনও করেন।
বডি ওয়েট এক্সারসাইজ়
একসঙ্গে অনেকগুলি পুশ-আপ করতে পারেন। পিঠের পেশির জন্য করেন পুল-আপ।
পেটের পেশি বা কোর মাসল মজবুত করতে প্ল্যাঙ্ক করেন নিয়মিত।
অ্যাবডমিনাল ওয়ার্কআউট
লেগ রেজ় খুব পছন্দের ব্যায়াম সলমনের। সেই সঙ্গে সিট আপ ও ক্রাঞ্চেসও করেন।
অ্যাব এক্সারসাইজ়ের মধ্যে লাঞ্জেসও করেন সলমন। লাঞ্জেস খুব ভাল স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ়। নিয়মিত করলে পা, পেট, কোমর ও নিতম্বের মেদ কমবে। পায়ের পেশির জোর বাড়বে।