জখম: বাঁদিকে আনিসুল। ডান দিকে, ছেলে তাহেরুল। —নিজস্ব চিত্র
সিপিএম সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বাদুড়িয়ার নারকেলবেড়িয়া গ্রামে এই ঘটনায় এক বৃদ্ধ-সহ পাঁচজন আহত হন। তাঁরা স্থানীয় রুদ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, আহতরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনে সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট হয়ে লড়ছে। স্থানীয় নারকেলবেড়িয়া গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি আলতাপ হোসেন মণ্ডল এবং তাহেরুল আলমের। আলতাপ তৃণমূল কর্মী। তাহেরুল সিপিএমের সমর্থক। ওই এলাকায় কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করছেন তাহেরুল। তাঁর হয়ে এলাকায় ভোট প্রচারও করছেন তাহেরুল।
তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটারদের টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিপিএম। এর প্রতিবাদ করাতে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় মারামারি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মাথা ফাটে সিপিএম কর্মী তাহেরুলের বাবা বৃদ্ধ আনিসুলের। তাহেরুল এবং তাঁর দুই ভাই রাকিবুল ও সাবিরুল-সহ উভয়পক্ষের পাঁচজন আহত হন। তাহেরুল বলেন, ‘‘সিপিএম তথা জোটের সমর্থন করায় আমাদের উপর চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। বাবাকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়।’’ এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা তুষার সিংহ বলেন, ‘‘এটি পারিবারিক ঘটনা। তাকে মিথ্যা রাজনৈতিক রূপ দিয়ে গ্রামে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষ সব বোঝেন।’’
তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার রাতেই বাদুড়িয়ার জগন্নাথপুর পঞ্চায়েতের মহেশপুর গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা মেরেছে সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বচসা থেকে গন্ডগোল বাধে। তা থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। অভিযোগ, গভীর রাতে তৃণমূল কর্মী রহিচউদ্দিনের বাড়ি লক্ষ করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে। তবে বোমায় কোনও রকম ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশি টহল চলছে এলাকায়।
হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মানুষের কাছে বিশ্বাস হারিয়েছে সিপিএম। সে জন্য ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বামেরা। এখন হারার ভয়ে নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।’’ সিপিএম অবশ্য গোটা ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাজানো বলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy